অবশেষে শনাক্ত করা গিয়েছে আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির দেহ। ডিএনএ পরীক্ষার পর শনাক্তকরণ সম্ভব হয়েছে। তাঁর পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। তার সঙ্গে মৃতদেহের ডিএনএ নমুনা মিলে গিয়েছে। সোমবার রাজকোটে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার সঙ্গে বিজয় রূপানির শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। (আরও পড়ুন: ট্রাম্প যে খামেনিকে বাঁচানোর কৃতিত্ব চাইছেন,ট্রাম্পকে মারার ছক কষছেন সেই খামেনি?)
আরও পড়ুন: এবার আর্মেনিয়া হয়ে ইরানে 'মিশন' চালাতে পারে ভারত, সামনে এল নয়া আপডেট
গত ১২ জুন আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকগামী বিমানে উঠেছিলেন বিজয় রূপানি। লন্ডনে কন্যার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু ওই বিমান রানওয়ে ছাড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ভেঙে পড়ে। সামনের একটি বিল্ডিংয়ে ধাক্কা খেয়ে বিমানটিকে বিস্ফোরণ হয় এবং আগুন জ্বলে ওঠে। এয়ার ইন্ডিয়ার অভিশপ্ত সেই এআই১৭১ বিমানে রূপানি-সহ মোট ২৪২ জন ছিলেন। একজন মাত্র যাত্রী বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছেন। বাকি ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হিসাবে এখনও পর্যন্ত অমেমদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৭০। জানা গেছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার সকাল ১১ টায় আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে পৌঁছাবে তার দেহ নিতে। এরপর তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে রাজকোটে। রাজকোটে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার সঙ্গে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর।সেখানে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সঙ্গে রাজ্যে একদিনের শোকপালন করা হবে। (আরও পড়ুন: ডিএ মামলায় 'কোণঠাসা' রাজ্য? সরকারের 'খরচ' বাঁচানোর চাবিকাঠি ছিল কর্মীদের হাতেই)
একবার নয়, পরপর দু’বার সফরের দিন বদল করেছিলেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। শেষমেশ ১২ জুন আমদাবাদের সেই অভিশপ্ত বিমানে উঠেছিলেন তিনি। সেই বিমানই টেক-অফ করার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ভেঙে পড়ে। মৃত্যু হয় ২৪১ জন যাত্রীর, তাঁদের মধ্যে ছিলেন রূপানিও।প্রথমে ১৯ মে লন্ডন যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন রূপানি। সে দিন এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটের টিকিট কেটেছিলেন তিনি। ফেরার কথা ছিল ২৫ জুন। পরে ওই টিকিট বাতিল করে রূপানি ৫ জুনের জন্য ফের বুকিং করেন। তবে কোনও এক কারণে শেষ মুহূর্তে সেই টিকিটও বাতিল করেন তিনি। শেষমেশ তৃতীয়বার ১২ জুনের ফ্লাইটের টিকিট কেটেছিলেন রূপানি। তাঁর সিট নম্বর ছিল ২ডি।
আরও পড়ুন: ২৭ জুনের মধ্যে ২৫% বকেয়া ডিএ না মেটালে 'এর দাম দিতে হবে' রাজ্য সরকারকে
তবে ঠিক কী কারণে বিজয় রূপানি পরপর ২ বার টিকিট বাতিল করেছিলেন তা স্পষ্ট না হলেও ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, পয়া নম্বরের ওপর ভরসা করেই তিনি এটা করেছিলেন। ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, '১২০৬' ছিল তাঁর কাছে সৌভাগ্যের সমান। সেই কারণে বছরের ষষ্ঠ মাস জুনের ১২ তারিখ তিনি পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে ঠিক করেন। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে '১২০৬'-তেই লন্ডনগামী বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর।