হিরো মোটো কর্পের চেয়ারপার্সন পবন মুঞ্জল ও কোম্পানির অন্যান্য আধিকারিকদের বাসভবনে হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্য়াক্ট অনুসারে দিল্লি ও গুরগাঁওতে হিরো কোম্পানির ওই পদস্থ আধিকারিকদের অফিসে ও বাড়িতে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। তবে এই অভিযানের ব্যাপারে এজেন্সির তরফ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু কেন ইডি হিরো কোম্পানির পদস্থ কর্তাদের বাড়িতে হানা দিল?
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিপার্টমেন্ট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স মুঞ্জাল ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নালিশ করেছিল। তদন্তে দেখা যায় তিনি বিদেশি মুদ্রা বহন করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি এনিয়ে কোনও ব্যাখা দিতে পারেননি। এরপরই ইডির তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে ২০২২ সালের মার্চ মাসে আয়কর দফতর হিরো মোটো কর্পের অফিসে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় মুঞ্জলের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। তবে সেই তল্লাশি প্রসঙ্গে সেই সময় কোম্পানির তরফে বলা হয়েছিল এটা রুটিন তল্লাশি। আর্থিক বছর শেষ হওয়ার আগে সাধারণত এই ধরনের তল্লাশি হয়ে থাকে। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সেই সময় কোম্পানির তরফ থেকে বলা হয়েছিল, আয়কর দফতরের আধিকারিকরা আমাদের দুটি অফিসে এসেছিলেন। একটি হল দিল্লিতে ও অপরটি হল গুরগাঁওতে। সিইও পবন মুঞ্জলের বাড়িতেও গিয়েছিলেন তারা। আমাদের যেটা জানানো হয়েছে যে এটা একটা রুটিন তদন্ত। আর্থিক বছরের আগে এই ধরনের পদক্ষেপ অস্বাভাবিক কিছু নয়।
তবে এবার সিএনবিসির রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, পবন মুঞ্জলের বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্য়াক্ট ২০০২ অনুসারে মামলা করা হয়েছে। মানিকন্ট্রোলের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে হিরো মোটোকর্প এই ইডির হানার কথা স্বীকার করেছে। স্টক এক্সচেঞ্জকে হিরো মোটোকর্প জানিয়েছে, ইডির আধিকারিকরা দিল্লি ও গুরগাঁওতে আমাদের অফিসে হানা দিয়েছিলেন। আমাদের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান পবন মুঞ্জলের বাড়িতেও গিয়েছেন। আমরা এজেন্সিকে সবরকম সহায়তা করছি।
এদিকে মিন্টের প্রতিবেদন অনুসারে এই ইডির হানার পরেই কোম্পানির শেয়ার পড়তে শুরু করে। দুপুর ১টার সময় ৩.৪৫ শতাংশ নেমে যায় কোম্পানির শেয়ার।