টিভি চ্যানেল অফিসে হামলা চালানো সব বন্দুকবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ইকুয়েডরের জাতীয় পুলিশ। বন্দি টিভি কর্মীদেরও উদ্ধার করা হয় সেখান থেকে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই চ্যানেলের অফিস থেকে ১৩ জন বন্দুকবাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে খবর পরিবেশন করছিলেন সঞ্চালক। সেই সময়ই মাস্ক পরিহিত কয়েকজন বন্দুকধারী দুষ্কৃতী প্রবেশ করল স্টুডিওতে। লাইভ শো-তে তখন এই সব কাণ্ড দেখছিলেন বহু মানুষ। ঘটনাটি ঘটেছে ইকুয়েডরে। সেদেশের সবথেকে বড় শহর গুয়াকিলে অবস্থিত এই টিভি চ্যানেলের অফিস। রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার ইকুয়েডরে একটি স্থানীয় সংবাদ চ্যানেলের অফিসে ঢুকে চ্যানেলকর্মীদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁদের বন্দি করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পরপরই ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া সামরিক অভিযানের ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, ইকুয়েডরের এক অপরাধী গোষ্ঠী এই কাণ্ড ঘটায়। (আরও পড়ুন: ‘ভোটের বাজেট’ নিয়ে জল্পনা, রাজ্যে কার্যকর হবে সপ্তম বেতন কমিশন? শুরু চাপা গুঞ্জন)
পরে অবশ্য টিভি চ্যানেল অফিসে হামলা চালানো সব বন্দুকবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ইকুয়েডরের জাতীয় পুলিশ। বন্দি টিভি কর্মীদেরও উদ্ধার করা হয় সেখান থেকে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই চ্যানেলের অফিস থেকে ১৩ জন বন্দুকবাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে বিপুল সংখ্যায় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছে বলে জানাননি পুলিশ প্রধান সিজার অগুস্তো জাপাটা কোরেয়া। ধৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী হামলার ধারায় মামলা রুজু করে বিচার চালানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে টিভি চ্যানেলের অফিসে হামলার ভিডিয়ো যেমন ভাইরাল হয়েছিল, তেমনই ভাইরাল হয়েছে মুক্তি পাওয়া চ্যানেলকর্মীদের উল্লাসের ভিডিয়ো।