'মুখ্যমন্ত্রী দিদি কখনও ভয় পাবে না।' সদ্য আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথমবার জনসমক্ষে এসে আশ্বস্ত করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা।শুক্রবার গান্ধীনগরের আশোক বাজারে নির্ধারিত এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের আগে থেকেই গোটা গান্ধীনগর মার্কেট এলাকা পরিণত হয় নিরাপত্তার চাদরে। একাধিক দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়, মোতায়েন করা হয় দিল্লি পুলিশ ও সিআরপিএফ-এর বিশাল বাহিনী।
অনুষ্ঠানে থেকে দিল্লির বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি যে আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী দিদি ভয় পাবেন না, ক্লান্ত হবেন না, হার মানবেন না। যতক্ষণ না দিল্লি তার অধিকার পায়, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি আপনাদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাবেন। আপনাদের জন্য লড়াই করা আমার ব্রত।' পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী গান্ধীনগরের বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ সিং লাভলিকে 'যমুনা পার বিকাশ বোর্ডে'র চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, অরবিন্দ সিং লাভলি দিল্লি সরকারের উচ্চপদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। কোনও গোপন এজেন্ডা ছাড়াই কেবল উন্নয়নের জন্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। তিনি গান্ধীনগরের মুখ্যমন্ত্রীর মতো। তিনি দিল্লির উন্নয়নের জন্য শপথ নিয়েছেন। লাভলিই 'যমুনা পার বিকাশ বোর্ডে'র চেয়ারম্যান হবেন।
আরও পড়ুন-ভাঙা ভাঙা হিন্দিতে 'মিষ্টি' ঘোষণা! যাত্রীদের মন জয় পাইলটের, প্রশংসা নেটিজেনদের
এদিন লাভলি এবং পূর্ব দিল্লির সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ মালহোত্রাকে এলাকার উন্নয়নের জন্য একটি বাজেট প্রস্তাব প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'আমি আজ বাজেট অনুমোদন করছি। আপনি কেবল বাজেটের অনুমান-সহ একটি ফাইল প্রস্তুত করুন।' মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা আরও বলেন, তাঁর সরকার সমস্ত ডিটিসি বাসের রুট ম্যাপিং শুরু করছে এবং এটি যমুনা পার থেকে শুরু হবে। তিনি জানান, 'আমরা রুটগুলি ঠিক করব। প্রতিটি এলাকায় পর্যাপ্ত বাস থাকবে।'
আরও পড়ুন-ভাঙা ভাঙা হিন্দিতে 'মিষ্টি' ঘোষণা! যাত্রীদের মন জয় পাইলটের, প্রশংসা নেটিজেনদের
গত ২১ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রীর সিভিল লাইনসের সরকারি বাসভবনে ‘জন শুনানি’-র সময় চাঞ্চল্যকর হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের নিরাপত্তা বহুগুণে বাড়ানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে সিআরপিএফ-এর সদস্যরা, যারা ২৪ ঘণ্টা পাহারায় থাকছেন।অন্যদিকে, অভিযুক্ত রাজেশ ভাইকে বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হলে, আদালত তাকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠায়। নতুন ভারতীয় দণ্ডবিধি (বিএনএস)-এর অধীনে তার বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টার (ধারা ১০৯), সরকারি কর্মীকে বাধা দেওয়ার (ধারা ১৩২) ও দায়িত্ব পালনে বিঘ্ন ঘটানোর (ধারা ২২১) অভিযোগ আনা হয়েছে।