'লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী মানসিকভাবে অসুস্থ।' প্রধানমন্ত্রীর 'আত্মসমর্পণ' তত্ত্বের পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী।ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বেনজির কটাক্ষ করেছেন রাহুল গান্ধী। প্রথমে অপারেশন সিঁদুর ইস্যুতে কেন্দ্রের পাশে থাকলেও ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির পর থেকেই সুর বদলেছেন রাহুল।তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোন কলের পর ‘আত্মসমর্পণ’ করেছেন।
এরপরেই কংগ্রেস নেতার তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী। তিনি বলেন, 'অত্যন্ত সস্তা, নিম্নমানের বক্তব্য দিয়ে, স্বঘোষিত-সর্বোচ্চ নেতা রাহুল গান্ধী বিশ্বকে বলছেন যে বিরোধী দলনেতা হওয়ার পরেও, তারমধ্যে ওই পদের জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্ব এবং পরিপক্কতার অভাব রয়েছে। রাহুল গান্ধী যেভাবে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্ব এবং 'অপারেশন সিন্দুর'-এর সাফল্যের বিষয়ে সেনা কর্মকর্তাদের বক্তব্যকে আত্মসমর্পণের সঙ্গে তুলনা করেছেন, তাতে বোঝা যায় যে তাঁর মানসিকতা কতটা অসুস্থ এবং বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।'
রাহুলকে নিশানা করে বিজেপি নেতা আরও বলেন, 'এতদিন পর্যন্ত কংগ্রেস নেতারা পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে শিরোনামে আসছিলেন, তাদের বক্তব্য পাকিস্তানি সংসদে উদ্ধৃত করা হচ্ছিল। কিন্তু প্রথমবার রাহুল গান্ধী এমন কিছু বলেছেন যা পাকিস্তানের সেনাপ্রধানও বলেননি, এমনকি পাকিস্তানের কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনও বলেননি। এমনকি মাসুদ আজহার বা হাফিজ সইদও এমন কথা বলেনি।' তাঁর কথায়, 'তাদের কেউই বলেনি যে ভারত আত্মসমর্পণ করেছে। আমি রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, তিনি কি এই লোকদের থেকেও এক ধাপ এগিয়ে যেতে চান?' কংগ্রেসের নির্বাচনে পরাজয়ের সমালোচনা করে সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, 'যে ব্যক্তি নির্বাচনের ফলাফলে তিন পয়েন্ট কম পাওয়াকে সাফল্য হিসেবে দেখেন এবং তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়াকে পরাজয় হিসেবে দেখেন, তার বুদ্ধিমত্তা কতটা তা স্পষ্ট।আমি কংগ্রেসকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, রাহুল গান্ধী আত্মসমর্পণ শব্দটি ব্যবহার করে সেনাবাহিনীকে অপমান করেছেন কিনা? তিনি এমন একটি শব্দ ব্যবহার করেছেন যা পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনও ব্যবহার করেননি।'
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, 'একটু চাপ পড়লেই ভয়ে পালায় বিজেপি-আরএসএস সদস্যরা। ওদিক থেকে ট্রাম্প ফোন করে বললেন, মোদীজি এসব কী করছেন। নরেন্দ্র সারেন্ডার করুন। আর মোদীজি জি হুজুর করে ট্রাম্পের ইশারা মেনে কাজ করলেন। আসলে স্বাধীনতার আগে থেকেই আত্মসমর্পণ করাটা এদের স্বভাব।' এরপর ইন্দিরা গান্ধীর প্রসঙ্গ মনে করিয়ে রাহুল বলেন, '১৯৭১-এ কোনও ফোন আসেনি। মার্কিন অস্ত্র এসেছিল, রণতরী এসেছিল। তারপরও ইন্দিরা গান্ধী লড়াই চালিয়ে যান। কংগ্রেস আত্মসমর্পণ করার মতো দল নয়। সুপার পাওয়ারের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো দল।'