২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বিহারের শিক্ষা দফতরের তরফে উপস্থিতির হার বাড়ানোর জন্য একটি অভিযান চালানো হয়। তাতে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়। শিক্ষা দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব কে কে পাঠকের নির্দেশে এই অভিযান শুরু হয়েছিল।
নীতিশ কুমার। (ফাইল ছবি)
স্কুলে অনুপস্থিতির হার কমাতে কঠোর পদক্ষেপ করেছে বিহার সরকার। স্কুলে অনুপস্থিত থাকার জন্য বিপুল সংখ্যক পড়ুয়ার নাম খাতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যার সংখ্যা হল ২০ লক্ষরও বেশি। জানা গিয়েছে, যাদের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ২.৬৬ লক্ষ পড়ুয়ার এবার দশম এবং দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষায় বসার কথা ছিল। এত সংখ্যক পড়ুয়ার নাম বাদ দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সরকার। এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধীরা।
জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বিহারের শিক্ষা দফতরের তরফে উপস্থিতির হার বাড়ানোর জন্য একটি অভিযান চালানো হয়। তাতে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়। শিক্ষা দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব কে কে পাঠকের নির্দেশে এই অভিযান শুরু হয়েছিল। শিক্ষা দফতরে মুখ্য সচিব সমস্ত জেলার শাসকদের এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তা খতিয়ে দেখার পর ২০,৬০,৩৪০ জন পড়ুয়ার নাম অনুপস্থিত থাকার কারণে কেটে দেওয়া হয়।
সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে সিপিআই (এমএল) লিবারেশন। তারা রাজ্যের শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্তকে স্বৈরাচারী বলে সমালোচনা করেন। তাদের বক্তব্য, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করার কোনও অধিকার নেই সরকারের । এখনও বহু সরকারি স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই বা পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ নেই। সরকারের সে বিষয়টির উপর নজর দেওয়া উচিত।