কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। শনিবার তিনি কার্যত তীব্র কটাক্ষ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাফ কথা, রঘুরাম রাজন একজন রাজনীতিবিদের মতো আচরণ করছেন। তিনি কারোর হয়ে ছায়াযুদ্ধে নেমেছেন। কিন্তু কেন এভাবে আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নরকে নিশানা করলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব?
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, সম্প্রতি রাজন জানিয়েছিলেন, ভারত মোবাইল ফোন প্রস্তুত করছে না। প্রোডাকশন লিঙ্কড সিস্টেমের আওতাতেও ভারত মোবাইল ফোন তৈরি করছে না। ভারত কেবলমাত্র মোবাইল ফোন অ্য়াসেমব্লিং করছে। আর একথা শুনেই কার্যত চটে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, যখন ভালো অর্থনীতিবিদ রাজনীতিবিদ হয়ে যান, তখন তাঁরা অর্থনৈতিক জ্ঞানটা হারিয়ে ফেলেন। রঘুরাম রাজন এখন রাজনীতিবিদ হয়ে গিয়েছেন। এখন তাঁর এসব থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। তাঁর এখন ভোটে লড়া দরকার। রাজনীতির কাজকর্মে অংশগ্রহণ করুন। এভাবে ছায়াযুদ্ধ করাটা ভালো কাজ নয়। মনে হচ্ছে তিনি কারোর হয়ে ছায়াযুদ্ধে নেমেছেন।
সেই সঙ্গেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সংযোজন আগামী দু বছরে ভারত ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী প্রস্তুতের ক্ষেত্রে প্রায় ৩০ শতাংশ অগ্রগতি করবে। এছাড়া অন্তত তিনটি কোম্পানি গোটা বিশ্বের জন্য ভারতে মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশ তৈরি করবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, যারাই এই ধরনের ইলেকট্রনিক্সের সামগ্রী উৎপাদন করছে তারা একাধিক ধাপের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে গোটা বিশ্বজুড়ে যে সরবরাহ শৃঙ্খল রয়েছে সেটা এতটা জটিল যে সেখানে কোনও দেশ দাবি করতে পারে না যে ৪০ শতাংশের বেশি তারা তাদের অংশটা যোগ করছে।
সেই সঙ্গেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, সেকারণেই বলছি রঘুরাম রাজন যে কাজটা করছেন সেটা ঠিকঠাক নয়। তিনি ভালো অর্থনাীতিবিদ। আমি তাঁকে অনুরোধ করব আপনি অর্থনীতিবিদ হিসাবেই থাকুন অথবা আপনি রাজনীতিতে নেমে পড়ুন।
এদিকে রঘুরাম রাজনের এই মন্তব্য ও তার পালটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবিকে কেন্দ্র করে নতুন করে শোরগোল পড়তে শুরু করেছে। এনিয়ে রাজনৈতিক জল্পনাও ছড়াচ্ছে। তবে কিছুদিন আগে রাজস্থানে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন রঘুরাম রাজন। গোটা দেশজুড়ে যখন ভারত জোড়ো যাত্রা হচ্ছিল তখনই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নরের দেখা হয়েছিল। সেই সময় তাদের মধ্যে কিছু কথাবার্তা হয়েছিল। তবে কি এবার অন্য সমীকরণ?