পহেলগাঁও। কাশ্মীরের মিনি সুইজারল্যান্ড বলে পরিচিত। দলে দলে পর্যটকরা এখানে আসেন। আর ছবির মতো সুন্দর জায়গায় দলে দলে আসেন পর্যটকরা। সেই পর্যটনস্থলেই গুলি চালিয়েছিল জঙ্গিরা। একের পর এক পর্যটককে গুলি করা হয়েছিল। আতঙ্কে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিল পর্যটকরা।
গত ২২শে এপ্রিলের ঘটনা। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ ছিল পুরোপুরি এই পর্যটনকেন্দ্র।
তবে শনিবার ওই এলাকায় ফের কয়েকজন পর্যটকের দেখা মিলেছে। ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, কয়েকজন পর্যটক ছবি তুলছিলেন। সেলফি তুলছিলেন। পহেলগাঁওয়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় সেলফি পয়েন্টে তাঁরা ছবি তুলছিলেন বলে খবর। লিডার নদীর ধারেই এই সেলফি পয়েন্ট। সেখানেই তাঁরা ছবি তুলছিলেন।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বেশিরভাগ পর্যটকই বলেছেন, পহেলগাঁও যাওয়ার ক্ষেত্রে যেহেতু কোনও বাধা নেই সেক্ষেত্রে ছুটি পেয়েই তাঁরা পহেলগাঁওতে এসেছেন। হোটেলগুলির তরফে পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য স্পেশাল কিছু ডিসকাউন্টও দেওয়া হচ্ছে। এমনকী কিছু রেস্তরাঁতে একটি করে ফ্রি মিলও দেওয়া হচ্ছে।
তবে বেশিরভাগ দোকানপাট এখনও বন্ধ রয়েছে। চারদিকে সেনার কড়া নজর। কলকাতার এক পর্যটক জয়দীপ ঘোষ জানিয়েছেন, বৈসরন উপত্যকাটা ছাড়া অন্যান্য জায়গায় আমরা অবশ্যই যাচ্ছি। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে।
মৃত্যুঞ্জয় পান্ডে নামে বিহারের এক শিক্ষক জানিয়েছেন, ২৪-২৬ এপ্রিল পর্যন্ত আমাদের বুকিং ছিল। কিন্তু সেটা বাতিল করেছিলাম এই হামলার পরে। তবে যখন শুনলাম কোথাও কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই তখন শনিবার সকালে চলে এসেছি। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া সূত্রে।
কলকাতার এক ব্যবসায়ী মহম্মদ শফিক পরিবার নিয়ে এসেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনার পরে এখানকার মানুষরা অত্যন্ত সাহায্য়কারী। আর কোনও ভয় লাগছে না। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কিন্তু ওই ঘটনার জন্য় পহেলগাঁও তে আসব না এটা তো হয় না।
কার্যত হেরে গিয়েছে জঙ্গিরা।
অনেকের মতে, গুলি চালিয়ে ভয় দেখাতে চেয়েছিল জঙ্গিরা। একের পর এক পর্যটককে গুলি করে খুন করেছিল। কিন্তু তারপরেও দমাতে পারেনি পর্যটকদের।
এদিকে পর্যটকরা যাতে আসেন পহেলগাঁওতে সেব্যাপারে বার বার আবেদন করেছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ। তাঁরা মিছিল বের করেছেন এই জঙ্গি হানার বিরুদ্ধে। তাঁরা বার বার বলেছেন আমরা প্রাণ দিয়ে এই জঙ্গিদের মোকাবিলা করব। এবার ফের ফিরতে শুরু করলেন পর্যটকরা। বাঙালি পর্যটকরাও ঘুরছেন পহেলগাঁওতেই।