সোমবার রাতে মধ্যপ্রাচ্য ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার পরে এয়ার ইন্ডিয়া ঘোষণা করেছে যে তারা ইউরোপ, উত্তর আমেরিকার পূর্ব এবং কানাডায় ফ্লাইট পরিচালনা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখবে। উল্লেখ্য, ইরান, ইজরায়েল যুদ্ধের মাঝে নতুন করে ইরানে মার্কিন হামলার পর থেকেই তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। সোমবার রাতে কাতারে মার্কিন এয়ারবেসে ইরানের হামলার আগে থেকেই সেদেশের আকাশসীমা বন্ধ থাকে। এরই সঙ্গে একাধিক দেশ আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। তারই মাঝে ইউরোপ ও আমেরিকার রুটের বিমান চলাচল নিয়ে বড় ঘোষণা আসে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে।
এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মধ্যপ্রাচ্যের উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাৎক্ষণিকভাবে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের পূর্ব উপকূলে সমস্ত পরিষেবা বন্ধ রাখবে। উত্তর আমেরিকা থেকে আমাদের ভারতগামী বিমানগুলি তাদের নিজ নিজ উৎসে ফিরে যাচ্ছে এবং অন্যদের ভারতে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বা বন্ধ আকাশসীমা থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে আমরা সমস্ত যাত্রীদের বোঝার অনুরোধ করছি যাঁরা এই বিঘ্ন দ্বারা প্রভাবিত হতে পারেন, যা একটি বিমান সংস্থার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এয়ার ইন্ডিয়া তার বাহ্যিক সুরক্ষা উপদেষ্টাদের সাথে অবিচ্ছিন্ন পরামর্শ করছে এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি সজাগভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আমরা আমাদের যাত্রীদের যে কোনও আপডেট সম্পর্কে অবহিত করা হবে। যাত্রী ও কর্মীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার।'
( জাগছে ইরানের ‘স্লিপার সেল’? সেই জল্পনার মাঝেই আমেরিকার অ্যালার্ট জারি, বড় আশঙ্কা)
ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকাগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটগুলি মধ্য প্রাচ্যের আকাশপথকে গন্তব্যে পৌঁছত ব্যবহার করে। মধ্যপ্রাচ্যগামী ফ্লাইট বিঘ্নিত হওয়ার বিষয়টি পর্যবেক্ষণকারী এভিয়েশন বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান সিরিয়াম জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার পথে অন্তত নয়টি ফ্লাইটকে তাদের মূল গন্তব্যে ফিরে আসতে হয়েছে। এর মধ্যে দুটি ইন্ডিগোর বিমান এবং চারটি এয়ার ইন্ডিয়া ও চরটি এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস রয়েছে।
এদিকে, ইন্ডিগোর তরফে এক্স পোস্টে বলা হয়েছে, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর আলোকে, দুবাই, দোহা, বাহরাইন, দাম্মাম, আবুধাবি, কুয়েত, রাস এআই-খাইমাহ এবং তিবিলিসি থেকে ফ্লাইট আগমন এবং প্রস্থান প্রভাবিত হয়েছে। আমরা সক্রিয়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং আমাদের গ্রাহক এবং ক্রুদের জন্য সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের ক্রিয়াকলাপগুলি সামঞ্জস্য করছি। আমরা বুঝতে পারি যে ডাইভারশন বা বিলম্ব ভ্রমণ পরিকল্পনাকে ব্যাহত করে এবং আমরা আন্তরিকভাবে অসুবিধার জন্য দুঃখিত। প্রভাবিত গ্রাহকদের আমাদের ওয়েবসাইট বা অ্যাপে তাদের ফ্লাইটের স্থিতি পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং অনলাইনে উপলব্ধ বিকল্প ভ্রমণের বিকল্পগুলি অন্বেষণ করতে পারে ...।’
এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি এবং কাতারের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস তাদের দোহাগামী বিমানটিকে কোচি থেকে মাস্কাটগামী বিমানের গতিপথ ঘুরিয়ে দেয় এবং কান্নুর থেকে ফেরত দেয়।