জম্মু ও কাশ্মীরের বুকে কিশতোয়ারে রবিবার থেকে এক জঙ্গি দমন অভিযান চলছে। সেনার তথ্য অনুযায়ী, গোয়েন্দা সূত্রে তাদের কাছে খবর আসে, এলাকায় জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার। তারপরই চলে দুই পক্ষের গুলির লড়াই। এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়। জানা গিয়েছে, কিশতোয়ার এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয় পাহাড়ের গায়ে এক গুহায়। সন্দেহ করা হয়, ওই গুহাতেই ডেরা থাকতে পারে জঙ্গিদের।
যে গুহাটিতে ওই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, সেটিকে জঙ্গিরা নিজেদের কাজে লাগিয়েছে বলে সন্দেহ। গুহার মুখে ওই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। উল্লেখ্য, কিশতোয়ার সহ জম্মু ও কাশ্মীরের ৭ টি জেলা বর্তমানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘিরে বেশ কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে নিরাপত্তাবাহিনীকে। রিপোর্ট বলছে, গত কয়েক বছরে এলাকায় ক্রমাগত বেড়েছে সন্ত্রাসীদের আনাগোনা। আর তারা অনুপ্রবেশ করছে পাকিস্তান থেকে। উল্লেখ্য, ২০২১ সাল পর্যন্ত এই এলাকায় সেভাবে সন্ত্রাসী আনাগোনা দেখা যায়নি। তবে তার পরই এই জঙ্গিদের এলাকায় প্রবেশ বেড়ে যায়। এই এলাকা গত কয়েক বছরে সন্ত্রাসীদের আস্তানাই শুধু নয়, তারই সঙ্গে একাধিক এনকাউন্টারেরও ঘটনাস্থল হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে।
( Budh Margi: বুধ হবেন মার্গী! কৃপাধন্য হবেন ৩ রাশির জাতক জাতিকারা, লাকি কারা?)
এদিকে, জানা যাচ্ছে, যে গুহাকে বিস্ফোরণে ওড়ানো হয়েছে, সেই গুহাকে কার্যত হামাস গোষ্ঠীর মতো করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ব্যবহার করে থাকতে পারে। প্রসঙ্গত, যখন গাজায় ইজরায়েলি ফোর্স তাদের সেনা অভিযান বাড়িয়ে দেয় হামাস গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে, তখনই হামাসের তরফে এমনই ধরণের গুহায় আস্তাবনা গাড়ে জঙ্গিরা। জানা যাচ্ছে, চেনাব উপত্যকার আশপাশে যে সমস্ত জঙ্গিরা কার্যকলাপ চালাচ্ছে, তাদের জন্য এই গোপন আস্তানা খুবই বড় বিষয়। চেনাব উপত্যকা ছাড়াও কাঠুয়া, উধমপুর, রাজৌরি, পুঞ্চ, ডোডা এলাকায় এমন বহু গোপন জঙ্গি আস্তানা সন্ত্রাসীদের টিকে থাকার অন্যতম অবলম্বন বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, সমুদ্রতল থেকে ১০ হাজার ফুট থেকে ১৩ হাজার ফুট উঁচুতে এমন আস্তানায় জঙ্গিদের গা ঢাকা দেওয়ার ক্ষেত্রকে স্থানীয়দের মধ্যে কেউ কেউ সহায়তা করছে কি না, সেদিকেও নজর রয়েছে ফোর্সের।