ক্যাম্পাসে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে অসমের শিলচরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এনআইটি) ৫ বাংলাদেশি পড়ুয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই ৫ অভিযুক্তকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। সূত্রের খবর, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর) স্কলারশিপে ভর্তি হওয়া ওই ৫ ছাত্রদের ঘরে তল্লাশির সময় মাদকদ্রব্য মিলেছে।
আরও পড়ুন-অর্থমন্ত্রকের উপসচিবের মৃত্যুতে তোলপাড় দিল্লি, ধৃত ঘাতক BMW-র মহিলা চালক
গত ৮ সেপ্টেম্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শিলচরের এনআইটি। জানা যায়, সেখানে মাদকাসক্ত অবস্থায় তৃতীয় বর্ষের একদল বাংলাদেশি পড়ুয়া অপর বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। মুহূর্তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্পাস চত্ত্বরে। অভিযোগ, উন্মত্ত ওই পড়ুয়ারা লোহার রড, ছুরি এবং ধারাল অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে। ঘটনায় আহত হন একাধিক পড়ুয়া। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আহত বেশ কয়েকজন ছাত্রকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে দু'জনের মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। আহতদের আইসিইউতে রাখা হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এরপরই কড়া পদক্ষেপ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশও।
আরও পড়ুন-অর্থমন্ত্রকের উপসচিবের মৃত্যুতে তোলপাড় দিল্লি, ধৃত ঘাতক BMW-র মহিলা চালক
কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হিংসায় প্রধানত ৫ জন পড়ুয়া যুক্ত ছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশি।এনআইটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তারা নিজেরা তদন্ত করেছে, গুয়াহাটি জোনের একজন সিনিয়র আইসিসিআর আধিকারিকও ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের তদন্ত এবং শাস্তিমূলক যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাতে সন্তুষ্ট। ক্যাম্পাস পরিদর্শনকারী গৌহাটির আইসিসিআর ডিরেক্টরও আমাদের তদন্তে সন্তুষ্ট।' এনআইটি ডিরেক্টর দিলীপ কুমার বৈদ্য বলেন, 'পাঁচজন ছাত্রকেই বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। তাঁরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না। ক্যাম্পাস হিংসাত্মক কার্যকলাপে তারা সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল এবং তাদের দুটি সেমিস্টারের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে।' সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে তাঁদের হস্টেল থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার ডিন এসএস ধর বলেন, 'অভিযুক্তদের ঘর থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে, যা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সময় বিবেচনা করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, ক্যাম্পাসে হিংসার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তবে সন্দেহভাজন মাদকদ্রব্য ব্যবহারের বিষয়টিও বিবেচনা করা হয়েছে।