বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। আর তার আগে, ২০২৩ বাদল অধিবেশন ঘিরে শাসক-বিরোধী সবপক্ষের কার্যত পাখির চোখ রয়েছে। সদ্বেঙ্গালুরুতে বৈঠকে বসেছে বিরোধী গোষ্ঠীর ২৬ দল। অন্যদিকে, এনডিএর আওতাধীর ৩৮ টি দলও তাদের হোমওয়ার্ক সেরেছে দিল্লির সদ্য সমাপ্ত বৈঠকে। এরপর ২০ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। সেখানে যে ৩১ টি বিল পেশ হওয়ার কথা রয়েছে, তার তালিকা দেখে নেওয়া যাক।বাদল অধিবেশন ঘিরে যে সমস্ত হাইভোল্টেজ বিল পেশ হতে চলেছে, তার মধ্যে রয়েছে ‘ ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল’, যা অনলাইন মিডিয়ার ক্ষেত্রে সদ্য এই বিলকে ছাড়পত্র দিয়েছে মোদী মন্ত্রিসভা। দেশের সমস্ত অফলাইন ও অনলাইন ডেটা আইনের আওতাধীন হবে, এমন বার্তার কথা বলা হচ্ছে এই বিলে। যে সমস্ত বিল বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির দ্বারা যাচাই করা হয়েছে, তার সংখ্যাও রয়েছে এই পেশ হতে চলা বিলের তালিকায়। সেখানে রয়েছে, ‘জনবিশ্বাস (অ্যামেন্ডমেন্ড অফ প্রভিশন বিল), ২০২৩’, জৈব বৈচিত্র সংশোধন বিল, ২০২২, বহু রাষ্ট্রীয় সংশোধন বিল ২০২২, বন সংরক্ষণ সংশোধনী বিল-ও রয়েছে তালিকায়। এছাড়াও রয়েছে জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত নথিকরণ বিল(সংশোধনী) ২০২৩। তবে যে বিলটি এই নিরিখে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ছে তা হল, ‘ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরি অফ দিল্লি (সংশোধনী বিল) ২০২৩’। এবারের বাদল অধিবেশনে শাসক ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে তর্ক বিতর্কের ঝড় উঠতে পারে দিল্লি ঘিরে প্রশাসনিক ক্ষমতা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ বিষয়ক বিল নিয়ে। বলে রাখা যাক, দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ ঘিরে গত ১১ মে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দায়ের করা মামলার সাপেক্ষে সুপ্রিম কোর্ট একটি রায় দিয়েছে। কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ দিয়েছে রায়। সেই রায়ের সাপেক্ষে ক্ষমতা কেজরি সরকারের দিকে যায়। তবে তারপরই আসে মোদী সরকারের অধ্যাদেশ। সেখানে প্রশাসনিক ক্ষমতা কেন্দ্র নিজের কাছে তুলে নেয়। এরপর চলে আইনি লড়াই। ফলে এই বিল নিয়ে যে বাদল অধিবেশনে ঝড় উঠতে তা বলাই বাহুল্য। ইতিমধ্যেই ২০২৪ লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে বিরোধী শক্তি জোট বাঁধতে শুরু করেছে। মোদী সরকারের হ্যাট্রিক রুখতে কংগ্রেস সমেত বহু দল একজোট। সেই জায়গা থেকে লোকসভা ভোট ২০২৪ এর আগের শেষ বাদল অধিবেশন বেশ প্রাসঙ্গিক হতে চলেছে।