প্রকৃত প্রেম খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন। এই জীবনে অনেকেই তাঁর প্রকৃত ভালোবাসার খোঁজই পান না। তবে অনেক কষ্ট করে এই প্রকৃত ভালোবাসার সন্ধান পেয়েছেন জোয়ানা গিরলিং। ৫০ বছর বয়সি এই মহিলা। ইংল্য়ান্ডের নরফোক এলাকার বাসিন্দা। স্বামীর সঙ্গে থাকতেন তিনি। এরপর ইজিপ্টে বেড়াতে গিয়ে প্রেমে পড়ে যান। খবর নিউজ ১৮ ইংলিশের প্রতিবেদন অনুসারে।
ইংল্যান্ডে থাকতেন তিনি। এরপর ইজিপ্টে ২০১৮ সালে বেড়াতে যান। সেখানেই হাসান খালিদ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাঁর। এরপর তিনি স্বামীকে ছেড়ে সেই হাসানের সঙ্গে সংসার পাতেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই হাসান তাঁকে ছেড়ে চলে যায়। বিদেশে একলা থাকতে হয় তাঁকে। এদিকে হাসান তাঁর জমানো সব কিছু নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রতারণার শিকার হন তিনি।
প্রেমে বড়সর আঘাত পান তিনি। তবে ওই মহিলা ইজিপ্টেই থেকে গিয়েছিলেন। এরপর হিসাম ফিয়াগো নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। ওই ব্যক্তি তাঁর থেকে সাত বছরের ছোট। এরপর জোয়ানার জীবনে নতুন করে প্রেম এল। নতুন করে শুরু হল জীবন গড়ার কাজ। সেখানেই তিনি ইংরেজির শিক্ষিকা হিসাবে কাজ করতে শুরু করেন তিনি।
তিনি দ্য মিররকে জানিয়েছেন, হাসানের সঙ্গে ওই পরিস্থিতির পরে আমাদের নতুন সম্পর্ক নিয়ে অনেকেরই সংশয় ছিল। কিন্তু হিসাম আমার ভালো সঙ্গী। যখন তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল তখন আমার কিছু ছিল না। কিন্তু হিসাম ব্যাঙ্ক লোনও নিয়েছে আমার ভিসার জন্য।
তবে হিসাম বর্তমান বেকার। তিনি উবার চালক হিসাবে কাজ করতে চান। সেকারণে তিনি চেষ্টা করছেন। হিসামকে বিয়ে করতে চান ওই মহিলা। সেকারণে তিনিও অর্থ জমাচ্ছেন। ইংল্যান্ডের স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স পেলেই তিনি বিয়ে করবেন।
ইজিপ্টের জীবনকে মানিয়ে নিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ইংল্যান্ডে আমি গাড়ি চালাতাম, চাইনিজ, কেএফসি, ম্যাক ডোনাল্ডের খাবার খেতাম। তবে এখানে জীবন অনেক স্বাস্থ্যকর। এদিকে অনেকেই এখনও তাঁদের এই সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক হল তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন।
তবে ওই ব্রিটিশ মহিলার দাবি, তিনি ৫০ বছর বয়সি। তিনি জানেন কোনটা ভুল আর কোনটা ঠিক।
তিনি জানিয়েছেন হিসাম আমার জীবনটাকেই ঘুরিয়ে দিয়েছে। আমার ৫০ বছর বয়স। আমি জানি আমি কী চাই।
প্রেমে ধোঁকা খেয়েছিলেন। আবার সেই প্রেমই তাঁর জীবনকে গড়ে দিয়েছে।