ফুটবল থেকে ক্রিকেট- সবেতেই মোহনবাগানের জয় জয়কার। শুক্রবার (২৩ মে) ২২ গজ থেকে এবার ট্রফি ঘরে তুলল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ফুটবলে আইএসএলের লিগ, শিল্ড জয়ের পর উন্মাদনায় ভেসেছিলেন বাগান সমর্থকেরা। সেই উচ্ছ্বাস কমার আগেই ফের তাঁদের আনন্দের জোয়ারে ভাসাল ক্লাবের ক্রিকেটাররা।
এদিন ইডেন গার্ডেন্সে কালীঘাট ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়ে জেসি মুখার্জি টি২০ ট্রফি জিতল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। সুদীপ ঘরামি এবং শুভঙ্কর বলের অসাধারণ ইনিংসের সৌজন্যে এক ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এদিন প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে কালীঘাট ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান করে। সেই রান কাড়া করতে নেমে এক ওভার বাকি থাকতেই ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মোহনবাগান।
কালীঘাটের ইনিংস
শুক্রবার টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কালীঘাট। শুরু থেকেই দলের দুই ওপেনার আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন। সায়ন শেখর মণ্ডল এবং শুভম চট্টোপাধ্যায়ের আক্রমণাত্ম মেজাজ দেখে হয়তো এদিন ২০০ রানের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলবে কালীঘাট। ৪১ বলে ৬২ রান করেন সায়ন শেখর। অন্যদিকে, ২৬ বলে ৫০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন শুভম। এই দুই ওপেনার কালীঘাটকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন। তবে দুই ওপেনারের মতো বাকিরা সেভাবে দলের হাল ধরতে পারেননি। সায়ন আর শুভম ছাড়া উল্লেখ করার মতো ১১ বলে ২১ রান করেছেন অরুণ চাপ্রানা। মোহনবাগান বোলাররাও ডেথ ওভারে চাপে ফেলেছিল কালীঘাটকে। মোহনবাগানের প্রদীপ কুমার এদিন ৪ ওভার ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। সৌরভ হালদার, সায়ন ঘোষ, এস যাদব ও বিকাশ সিং পান ১টি করে উইকেট। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৭ উইকেটে কালীঘাট করে ১৭৯ রান।
মোহনবাগানের ইনিংস
কালীঘাটের দেওয়া ১৮০ রান তাড়া করতে নেমে এক ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় মোহনবাগান। ১৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান তোলে তারা। আক্রমণাত্মক মেজাজে ২৮ বলে ৬২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন সুদীপ ঘরামি। এছাড়া শুভঙ্কর বল শেষের দিকে স্নায়ুর চাপ ধরে রেখে ১৬ বলে ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। গীতাংশ খেরা করেন ২৩ বলে ৩৯ রান। তাঁদের ব্যাটই বাগানকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। কালীঘাটে হয়ে দু'টি করে উইকেট নিয়েছেন অরুণ চাপরানা এবং কৌশিক মাইতি।