বস্তারে মাওবাদী অভিযানে বড় সাফল্য পেয়েছে বাহিনী। একের পর এক মাওবাদীকে নিকেশ করতে পেরেছে বাহিনী। কেমন ছিল সেই মাওবাদী অভিযানের অভিজ্ঞতা? সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইনসপেক্টর অবিনাশ কানোয়ার জানিয়েছেন, যেখানে অভিযান হয়েছিল তা অত্যন্ত বন্ধুর। পাহাড়, উপত্যকা, নদী। নকশালরা পুরো এলাকায় ছিল। সেখানে আমাদের ফোর্স অনেক অস্ত্রের খোঁজ পায়। মহিলা জওয়ানরা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। তাঁরা একেবারে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন। আবহাওয়ার প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য়েও তাঁরা কাজ করে গিয়েছেন। তারা আমাদের থেকেও কঠিন পরিশ্রম করতে পারেন। সফল হওয়ার পরে জওয়ানরা অত্যন্ত খুশি। এটা একটা বড় প্রাপ্তি। এর মাধ্য়মে তারা অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন।
তিনি এএনআইকে বলেন, 'পুরো নকশাল প্রভাবিত এলাকা। নদী, পাহাড়, উপত্যকা, উঁচু, নীচু এমন ভূভাগ। সেখানে ওঠা নামা খুব কষ্টের। আমাদের ফোর্স অনেক অস্ত্র পেয়েছে। বাকিটা আমাদের সিনিয়ররা বলবেন। মহিলা জওয়ানদের ভূমিকা খুব ভালো ছিল। কাঁধে কাঁধ দিয়ে অভিযানে শামিল হয়েছেন তাঁরা। রোদ, বর্ষা সমস্ত সময়ে তাঁরা কাজ করে গিয়েছেন। আমাদের থেকেও তাঁরা বেশি পরিশ্রমী। জওয়ানদের মধ্য়ে ভেতর থেকে একটা খুশি হচ্ছে। তাঁরা যেটা করতে পেরেছেন। এটা কাউকে আলাদা করে বলার দরকার পড়ে না। কাউকে জিজ্ঞাসা করার দরকার পড়ে না।'
ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুরে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মাওবাদী) সাধারণ সম্পাদক নামবালা কেশব রাও ওরফে বাসভারাজুর এনকাউন্টারে মৃত্যু। বুধবার গুলির লড়াইতে মারা গিয়েছে আরও ২৫ মাওবাদী। আসলে তারা সকলেই ছিল ওই মাও নেতার রক্ষী। সবাইকেই নিকেশ করেছে বাহিনী। তবে বাহিনীর মতে সব মিলিয়ে সম্ভবত ৩৫জন রক্ষী তাকে ঘিরে থাকত। বাকিরা পালিয়ে গিয়েছে।
বাসবরাজ ছাড়াও গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন বিশেষ জোনাল কমিটির সদস্য জাঙ্গুয়া নবীনও।
একেবারে জঙ্গলের ভেতর থাকত মাওবাদীরা। প্রচন্ড দুর্গম এলাকা। সহজে সেখানে যাওয়া যায় না। তার মধ্য়েই ঘাঁটি ছিল মাওবাদীদের। সেখান থেকে কার্যকলাপ চালাত তারা। বারে বারে ঘাঁটি বদলাতো তারা। সেখানে ছিল মাও নেতা বাসবরাজ। তাকেও নিকেশ করেছে বাহিনী। বহু অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। একের পর এক হত্যাকাণ্ডে তার নাম উঠেছিল। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে যুক্ত ছিল সে। কিন্তু তার ছবি পর্যন্ত মিলছিল না। এতটাই গোপনে থাকত ওই মাও নেতা। তবে শেষ পর্যন্ত বাহিনী তাকেও নিকেশ করতে সমর্থ হয়েছে।