
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
বেঙ্গালুরুর হিংসায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে। তারপরও ‘সোজা ব্যাট’-এ না খেলায় কংগ্রেসর বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ তুলল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের প্রশ্ন, ‘আপনাদের নিজেদের বিধায়ক যখন হামলার মুখে পড়েছেন, তখন এত তোষণ, ভয় কেন?’
মঙ্গলবার রাতে বেঙ্গালুরুর হিংসায় কংগ্রেস বিধায়ক আখান্দা শ্রীনিবাস মূর্তির বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় গাড়িতে। ওই বিধায়কের ভাইপোর বিরুদ্ধেই সোশ্যাল মিডিয়া নবীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। হিংসার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে তিনজনের। পুরো এলাকা এখনও থমথম করছে।
সেই হিংসার ঘটনা নিয়ে সকাল থেকেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ একটি টুইটবার্তায় বলেন, ‘বেঙ্গালুরুতে নিজেদের দলিত বিধায়ক আখান্দা শ্রীনিবাস মূর্তির উপর হামলা, বাড়িতে ভাঙচুরের পরও একেবারে চুপ করে আছে কংগ্রেস ও কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস। হিংসার অধিকারে পূর্ণ সমর্থন? ওদের জন্য দলের একমাত্র নীতি হল তোষণ।’
সন্তোষের টুইটের কিছুক্ষণ পরই টুইট করেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তিনি বলেন, 'কবল বীরসান্দ্রাতে যে হিংসাত্মক ঘটনা হয়েছে এবং যে সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে জনতা প্ররোচিত হয়েছে - দুটিরই নিন্দা করছি। এলাকার হিন্দু ও মুসলিম উভয়কে শান্ত থাকা, শান্তি বজায় রাখা এবং একতার সঙ্গে বসবাস করার জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।' সিদ্দারামাইয়ার টুইট রিটুইট করে সন্তোষ বলেন, ‘কন্নড়ে এটাকে বলে ভারসাম্যের খেলা।’
সেখানেই শেষ হয়নি বিজেপির আক্রমণ। তিরুবন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর টুইটারে বলেন, 'যারা বেঙ্গালুরু হিংসায় উস্কানি দিয়েছে এবং তা ছড়িয়েছে, তাদের অবশ্যই খুঁজে পেতে হবে, গ্রেফতার করতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তবে পুরো গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ না করে তাদের ঠগ ছাড়া আর কিছু বিবেচনা করা উচিত নয় এবং সব হিন্দু যেমন (গো)রক্ষক যায় না।' সেই টুইটও করে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বলেন, ‘একেবারে ঠিক স্যার। আপনার দলের দলিত বিধায়কের উপর হামলা চালানো হল। থানা ভেঙে দেওয়া হল। ২০ টির মতো গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হল। কেন প্ররোচিত এবং কুকর্মের মতো শব্দ? ব্যাট সোজা রাখুন।’
বিজেপির সেই আক্রমণের পালটা দেয় কংগ্রেসও। প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়, রাজনৈতিক ফায়দা নিতে এরকম 'ভয়ানক' ঘটনায় সাম্প্রদায়িকতার রং চড়াচ্ছেন সন্তোষ। যা 'করুণ ও শোচনীয়'। বিজেপির বিরুদ্ধে ‘মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি’ করার অভিযোগ তোলা হয়। কংগ্রেসের সেই আক্রমণের পালটা মুখ খোলেন সন্তোষ। আবার দলিত বিধায়ক ব্যবহার করে তিনি বলেন, 'আপনাদের নিজেদের বিধায়ক যখন হামলার মুখে পড়েছেন, তখন এত তোষণ, ভয় কেন? সাধারণ এবং সোজা হন, স্যার।’
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports