অভিজিৎ চৌধুরী
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। দেখতে দেখতে প্রায় চাটে বছর হয়ে গেল এখানে। সংস্থা বা অফিস নয়, এখন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা আমার জন্যে 'বাড়ি'। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার জন্মলগ্ন থেকে আমি এখানে কাজ করছি না বটে, তবে শুরু থেকেই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার যাত্রা আমি দেখেছি। কর্মসূত্রে যখন হায়দরাবাদে থাকতাম, তখন আমার যিনি রুমমেট ছিলেন, তিনি প্রথম থেকেই এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন - অয়ন। তাঁকে এখানে যোগ দিতে দেখেই এখানে কাজ করার ইচ্ছে জেগেছিল মনে। তারপর সুযোগ পেতেই ২০২১ সালে এখানে আমার যোগদান। এরপর থেকেই আমার 'বস' এবং অন্যান্য সিনিয়ররা সত্যিকার অর্থেই হয়ে উঠেছেন আমার দাদা।
ভালো সময়, কঠিন সময় সবটাই দেখেছি। নিজেরও, আবার হিন্দুস্তান টাইমস বাংলারও। প্রশংসা, বকুনি সব কিছুই পেয়েছি এখানে। তবে সবথেকে বেশি যেটা পাওয়া, তা হল আন্তরিকতা। এবং সেই আন্তরিকতার খাতিরেই চেয়েছি, আমরা সবাই মিলে যেন একসঙ্গে এগিয়ে যাই শৃঙ্গের দিকে। ব্যক্তিগত ভাবে 'ম্যান অফ দ্য ম্যাচ' পাওয়া নয়, ইচ্ছে দল যেন চ্যাম্পিয়ন হয়।
গুটিগুটি পায়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ৫ বছর পার করেছে। ক্যাপ্টেনের দিকনির্দেশনায় এরই মধ্যে 'টপারদের' চ্যালেঞ্জ করেছে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। আর আমাদের ক্যাপ্টেন যেন 'রোহিত শর্মা'। অনেক কঠিন সময়তেই ঠান্ডা মাথায় খেলোয়াড়দের অভিভাবক হয়ে উঠেছেন তিনি। কঠিন পিচে খেলতে শিখিয়েছেন। সেই শিক্ষার ফলেই হিন্দুস্তান টাইমসকে আর সংস্থা বলতে ইচ্ছে হয় না। কারণ নিছক অফিস নয়, এইচটি বাংলা আমার কাছে একটি আবেগ। কালের নিয়মে ভবিষ্যতে কখনও হয়তো অন্য কোথাও কাজে যোগ দেব, তবে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা চিরকালই মনের অনেকটা জুড়ে থেকে যাবে। আমি কাব্যিক নই, তাই অগোছালো ভাবেই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার প্রতি আমার আবেগটা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম মাত্র।