বিয়ের তিন বছর পরেও দুজনের জীবনে সুখবর আসছিল না তৃতীয় অতিথি আসার। চিকিরসকের কাছে গেলে জানা যায়, ডিম্বাশয় স্বাভাবিকের তুলনায় বেশ ছোট, ভিতরে কোনও ফলিকল নেই। ফলিকল আদতে একধরনের থলি যা ‘এগ’ বা ডিম্বাণু ধারণ করে। সমস্যা শুধু এটুকুই নয়। এর পর তরুণীর হিস্টেরেস্কোপি করা হয়। দেখা যায়, তার জরায়ু দুই ভাগে বিভক্ত। চিকিৎসকের পরিভাষায় যাকে ইউটেরাইন সেপ্টাম বলা হয়ে থাকে। সব মিলিয়ে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে দুই ধরনের সমস্যায় ভুগছিলেন । এক, নিষেকের জন্য যথেষ্ট ডিম্বাণু নেই ডিম্বাশয়ে। অন্যদিকে জরায়ুর পরিস্থিতি এমনই যে ভ্রণ সেখানে ‘বাসা’ বাঁধতে পারবে না।
আরও পড়ুন - Health News: লোহার আলমারি চাপা পড়ে লিভার-অগ্ন্যাশয়ে বড় আঘাত, ৭ বছরের খুদের পেটে বসল স্টেন্ট
জোড়া সমস্যার জেরে
বিড়লা আইভিএফ ও ফার্টিলিটি সেন্টারের চিকিৎসক স্বাতী মিশ্র জানাচ্ছেন, ‘চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় প্রথমটি প্রিম্যাচিউর ওভারিয়ান ফেলিওর ও পরেরটি ইউটেরাইন সেপ্টাম। জোড়া সমস্যার কারণে গর্ভধারণ বেশ কঠিন হয়।’ তবে এই তরুণীর ক্ষেত্রে সেই দুঃসাধ্যই সাধন করেছেন চিকিৎসক। প্রথমে জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জরায়ুর মাঝের দেওয়ালটি বাদ দেওয়া হয়। এর ফলে ভ্রুণ ‘ইমপ্ল্যান্টেশন’ অর্থাৎ রোপিত হওয়াটা সহজ হয়ে যায়। এর পর দাতার ডিম্বাণুর সঙ্গে শুক্রাণুর নিষেক ঘটিয়ে নিষিক্ত ভ্রুণটি রোপণ বা ইমপ্ল্যান্ট করা হয়।
আরও পড়ুন - Kalyani University: বুধে PG-তে আবেদনের শেষ তারিখ, সোমবার বেরোল কল্যাণীর UG-র ফল, দিশেহারা পড়ুয়ারা
দ্বিতীয়বারে এল সাফল্য
চিকিৎসক জানাচ্ছেন, প্রথম চেষ্টায় আইভিএফ প্রক্রিয়াটি সফল হয়নি। কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, ভুল সময়ে রোপণ করা হয়েছিল ভ্রুণটি। কিন্তু দ্বিতীয় চেষ্টাতে সফল হয় ভ্রুণ রোপণ। বর্তমানে তরুণী কয়েক মাসের গর্ভবতী। চিকিৎসকের কথায়, ‘এন্ডোমেট্রিয়াল রিসেপটিভিটি অ্যারে-র মাধ্যমে প্রথমবারের ভুলটা ধরা পড়ে। দ্বিতীয়বারে তাই সাফল্য এসেছে প্রক্রিয়াটিতে।’