মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখন নানা কারণে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে। কখনও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, কখনও ভারতের শুল্ক নিয়ে তাঁর নানা মন্তব্য তাঁকে শিরোনামে আসন করে দিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই ভাইরাল ট্রাম্পের হাতের একটি ছবি। ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের হাতের পিছন দিকে কালশিটে দাগ। এই কালশিটে দাগ আগেও দেখা গিয়েছিল অন্য এক হাতে। যদিও সেটি ঢাকা ছিল মেকাপ দিয়ে। কিন্তু এবারের কালশিটে দাগটি আর ঢাকা নেই। ফলে সবার সমক্ষে এসে গেল ছবি।
আরও পড়ুন - ‘গণপতি বাপ্পা মোরিয়া’-তে মোরিয়া শব্দের মানে জানেন? গায়ে কাঁটা দেবে রীতিমতো
কী বলছে হোয়াইট হাউস?
সমস্যা এই ছবি নিয়ে নয়। আসল বিষয়টি এর কাহিনিতে লুকিয়ে। কদিন আগে হোয়াইট হাউস বিবৃতি দিয়ে জানায়, হাতের এই কালশিটে দাগের কারণ তাঁকে অত্যাধিক হ্যান্ডশেক করতে হয় ও নিয়মিত অ্যাসপিরিন খেতে হয়। এছাড়াও, ত্বকের হালকা জ্বালাভাবের কারণেও এমন কালশিটে হয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, অ্যাসপিরিন সাধারণত কার্ডিয়োভাসকুলার কোনও সমস্যা থাকলে খাওয়া হয়। কার্ডিয়োভাসকুলারের অর্থ হৃদরোগজনিত যে কোনও সমস্যা।
আরও পড়ুন - মাড়ি বা দাঁতের গোড়ায় মামুলি ঘা? ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ নয় তো
গুরুত্বহীন বলে দাবি হোয়াইট হাউসের
সোমবার হোয়াইট হাউসে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি লি জে মিউং-এর ছবি তুলছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তখনই তাঁর হাতের ছবি ভাইরাল হয়। হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক ডাঃ শন বারবাবেলা এবং প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট অবশ্য এই কালশিটে দাগকে গুরুত্বহীন বলে দাবি করেছিলেন। সংবাদ বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল, ঘন ঘন, জোরে করমর্দন এবং অ্যাসপিরিন খাওয়ার কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। প্রসঙ্গত, অ্যাসপিরিন হৃদরোগ প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।
দীর্ঘস্থায়ী ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি?
চিকিৎসকদের অনেকে এই সমস্যাকে দীর্ঘস্থায়ী ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি বলে মনে করেন। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের মতে, এই অবস্থা খুব সাধারণ। বছরে প্রায় ১৫০,০০০ ব্যক্তির হাতে এই সমস্যা দেখা যায়। বেশিরভাগ সময়, শিরার ভালভ অক্ষম হয়ে গেলে এমনটা হয় বলে জানাচ্ছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ।