বিএমআই অর্থাৎ বডি মাস ইনডেক্স। ওজন মাপার জন্য দীর্ঘদিন ধরে এই ইনডেক্সই ছিল ভরসা। কিন্তু প্রায় ৫০ শতাংশ মহিলাদের বিএমআই ঠিক থাকলেও দেখা যায়, তাদের পিসিওএস বা মেটাবলিক নানা রোগ রয়েছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এর মূল কারণ শরীরের ফ্যাট ডিস্ট্রিবিউশন বা মেদ জমার পদ্ধতি। মহিলাদের দেহে মেদ অস্বাভাবিক জমলে তা ডেকে আনতে পারে পিসিওএস বা মেটাবলিক রোগ যেমন ডায়াবিটিসের মতো সমস্যা।
কী বলছেন চিকিৎসক?
সিএমআরআই হাসপাতালের চিকিৎসক পর্ণমিতা ভট্টাচার্য জানাচ্ছেন, ‘BMI দীর্ঘকাল ধরে স্থূলতার একটি সার্বজনীন পরিমাপক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু ভারতীয় মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি প্রায়শই আসল ঝুঁকি ধরতে ব্যর্থ হয়। অনেক তরুণী মহিলাদের BMI স্বাভাবিক। তাদেরও PCOS বা মেটাবলিক ডিসঅর্ডার দেখা যায়। কারণ সমস্যাটি সামগ্রিক ওজনের চেয়ে মেদ দেহের কোথায় জমে আছে তার উপর নির্ভর করে।’
আরও পড়ুন - হৃদরোগে আক্রান্ত ট্রাম্প? হাতের কালশিটে মেকাপ দিয়ে ঢাকতে ভুলে গেল হোয়াইট হাউস
যে ভুল বারবার হয়
পর্ণমিতার কথায়, একটি ভুল প্রায়শই করে থাকেন বেশিরভাগ মহিলারা। ‘আমরা কোমর এবং পেটের উপরের অংশে অস্বাভাবিক মেদ জমার ঘটনা দেখি। এই মেদ ইনসুলিন প্রতিরোধ, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং প্রজনন সংক্রান্ত সমস্যার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু আদতে যেটি দেখা উচিত তা হল, নিতম্বের সাপেক্ষে কোমরের অনুপাত। কোমরের মাপকে নিতম্বের মাপ দিয়ে ভাগ করলে যা পাওয়া যায়, তাকেই কোমর-নিতম্বের অনুপাত বা waist-to-hip ratio বলা হয়। এটি BMI-এর চেয়ে বেশি কার্যকরী।’
আরও পড়ুন - মাড়ি বা দাঁতের গোড়ায় মামুলি ঘা? ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ নয় তো
কখন উদ্বেগের কারণ এই মাপ?
চিকিৎসকের কথায়, ‘মহিলাদের ক্ষেত্রে এই অনুপাত ০.৮৫-এর বেশি হলে তা উদ্বেগের কারণ (অর্থাৎ কোমরের মাপকে নিতম্বের মাপ দিয়ে ভাগ করলে যদি ভাগফল ০.৮৫-এর বেশি হয়)। তাই কম ওজনের মহিলারাও ঝুঁকির মধ্যে থাকতে পারেন। ওজন কমানোর পাশাপাশি দরকার এই বিষয়টিতেও নজর রাখা। দরকার, নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষার।’