মাত্র এক সপ্তাহ হয়েছে শুরু হয়েছে জি বাংলার নতুন মেগা 'দাদামণি'। ফের জি বাংলা প্রকাশ্যে আনল নতুন মেগার প্রোমো। আসছে নতুন ধারাবাহিক ‘তুলসি ধামের নাড়ু গোপাল’। প্রকাশ্যে এসেছে মেগার প্রথম প্রোমো।
আরও পড়ুন: সোমের বিশ্বাস ভেঙে অন্যত্র বিয়ে পার্বতীর! ‘রাণি ভবানি’ স্লট জয়ী হতেই ‘দাদামণি’র নতুন প্রোমোয় বড় চমক
কী দেখা গিয়েছে প্রোমোতে?
বৃহস্পতি বার সন্ধ্যায় নতুন মেগার প্রোমো প্রকাশ্যে আসে। সেখানে দেখা যায় একটি মন্দিরে নাড়ু গোপালের পুজো হচ্ছে। অনেক ভক্তরা সেখানে জমা হয়েছে। সবাই হাত জোর করে ভগবানের আরাধনা করছে। চারিদিক প্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত, আর সব কিছু মাঝে অধিষ্ঠান করছেন নাড়ু গোপাল। কিন্তু এই সব কিছুর মধ্যে এক কান্ড ঘটে। পুজো হচ্ছে, এদিকে ভগবানের মালা নেই?
তাই পুরোহিতই প্রথম বলে ওঠেন, ‘নাড়ু গোপালের মালা কোথায়?’ তারপর স্কুটি নিয়ে আগমন ঘটে মেগার নায়িকা 'তুলসি'র। চারিদিকে তখন রঙের মেলা। কোথাও নীল আবিরের উচ্ছ্বলতা, আবার কোথাও গুচ্ছ গুচ্ছ রঙিন কাগজের তুবড়ি। তার মধ্যে দিয়ে হাসি মুখে নিজের স্কুটিতে চড়ে এগিয়ে আসে তুলসি। আর তার পিছনের সিট থেকে মাথায় হেলমেট পড়ে উঁকি দিতে দেখা যায় স্বয়ং গোপালকে। তাঁর মুখে একরাশ হাসি।
আরও পড়ুন: 'রোশনাই'-এর শ্যুটিং শেষ হতেই মুম্বই পাড়ি অস্মির! এবার কী তবে বলিউডে কাজ আসতে চলেছে নায়িকার?
এরপর মন্দিরের সামনে এসে থামে স্কুটি। মালা নিয়ে মন্দিরের গর্ভগৃহে ছুটে যায় তুলসি। তার হাত থেকে মালা নিয়ে নাড়ু গোপালের গলায় পড়িয়ে দেয় পুরোহিত। সবাই ফুল ছুঁড়ে একসঙ্গে নাড়ু গোপালের জয় ধ্বনি দিতে থাকে।
তারপর আবহ থেকে ভেসে আসে একটি কণ্ঠ। সেখানে শোনা যায়, ‘সকলের চোখ এড়িয়ে তুলসির সঙ্গী হতে আসছেন তুলসি ধামের নাড়ু গোপাল।’ তারপরই গোপালের দর্শন পায় তুলসি, আর যথারীতি অবাক হয়ে পড়ে।
তবে মেগা কবে থেকে শুরু হবে সেই বিষয়ে এখনও চ্যানেলের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। পাশাপাশি, নায়িকা ও অন্যান্য কলাকুশলীরাও যে টলিপাড়ার চেনা মুখেরা কেউ নন তা প্রোমো দেখেই বোঝা যায়। আসলে এটি একটি হিন্দি ধারাবাহিকের বাংলা সংস্করণ হতে চলেছে, সহজ কথায় ডাবিং। আর তা দেখেই দর্শকরা অনেকে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।
একজন লেখেন, ‘আর কত ডাবিং আনবেন? এইবার নতুন ভালো ধারাবাহিক আনুন।’ আর একজন আরও একটি ডাবিং মেগা 'ইশক সুবহানাল্লাহ' শেষ না করার অনুরোধ জানিয়ে লেখেন, ‘এটা মনে হচ্ছে ডাবিং, ইশক সুবহানাল্লাহ শেষ করবেন না দয়া করে.!’ আর একজন লেখেন, ‘ধুর এই সব ডাবিং দেখতে ভালো লাগে না।’