বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Viral Girl Monika: বাংলাদেশের ভাইরাল গার্ল মনিকা কবীরের সঙ্গে আছে ভারতের নিবিড় যোগ! আদতে কে এই রুশ তরুণী?
পরবর্তী খবর
বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের রাস্তায় রাস্তায় নজর কাড়ছেন এক রুশ তরুণী। তাঁকে কখনও ঢাকার কোনও রাজপথে দৌড়ে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে তো কোথাও নাচ করছেন। কিন্তু কে এই ভাইরাল গার্ল মনিকা কবীর?
আরও পড়ুন: সদ্যই হারিয়েছেন স্বামীকে, মা ছিলেন টলিউডের প্রবাদপ্রতিম অভিনেত্রী! বার্থডে গার্লকে চিনতে পারছেন?
আরও পড়ুন: পরনে লেহেঙ্গা, গা ভর্তি গয়না! মেয়ের বেশে থাকা অভিনেতাকে চিনতে পারছেন?
কী ঘটেছে?
এই ভাইরাল গার্ল মনিকা কবীরকে কখনও ঢাকার রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে সেলফি তুলতে দেখা যাচ্ছে তো কখনও আবার কোনও বাংলাদেশির হাতে তুলে দিচ্ছেন নিজের দেশ অর্থাৎ রাশিয়ার পতাকা। বাদ দেননি সেখানকার জনপ্রিয় যানবাহন রিকশা করে ঘুরে বেড়াতে। কখনও ঢাকার রাস্তায় ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি তো কখনও আবার নাচ করছেন, কোনও অচেনা পথচারীর হাতে জড়িয়ে দিচ্ছেন ফুলের মালা। আর তাঁর এই অদ্ভুত সব কান্ডকারখানা বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ ভাইরাল। কিন্তু কে তিনি? তিনি নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আনজারা গার্ল বলে পরিচয় দেন। আর সেটাকে ভিত্তি করেই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো এই ফ্যাশন ব্র্যান্ড আনজারার যিনি প্রতিষ্ঠাতা নওরীন ইরার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাঁরাই জানিয়েছেন যে মনিকা এই রুশ তরুণী বাংলাদেশের ফ্যাশন ব্র্যান্ড আনজারার সঙ্গে কাজ করছেন।
জানা গিয়েছে মনিকা রাশিয়ার মস্কোয় জন্মেছেন এবং বেড়ে উঠেছেন। এছাড়া ঘুরে বেড়িয়েছেন, থেকেছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। তাঁর রুশ নাম মারিয়া ভ্যালিরিয়েভনা। ডাকনাম মনিশকা। তিনি রুশ ভাষা ছাড়াও জানেন বাংলা, হিন্দি, পোলিশ, তুর্কি, ইংরেজি এবং আজারবাইজান।
কিন্তু রাশিয়ান হয়েও পদবী কবীর! এই বিষয়ে তিনি জানান তাঁর ঠাকুরদা এবং ঠাকুমা ভারতেই থাকতেন। দিল্লির বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর বাবা কাজের জন্য রাশিয়ায় যান, সেখানেই বিয়ে করেন রাশিয়ান মহিলাকে। বাংলাদেশেও ছিল তাঁর বাবার ব্যবসা। বাবার সঙ্গেই ২০১২ সালে বাংলাদেশ আসেন মনিকা।
আরও পড়ুন: 'আপনার সঙ্গে গান গাইতে চাই', ভিড়ের মধ্যে ভক্তের হাতে প্ল্যাকার্ড দেখে কী করলেন অরিজিৎ?
আরও পড়ুন: ভাইজান জ্বরে কাবু দেশ! দু'হাজারের গণ্ডি টপকাল সিকান্দরের টিকিটের দাম, সর্বোচ্চ কত উঠল দর?
মনিকা লাতিন নাচে পারদর্শী বলেও জানিয়েছেন। তিনি পথেঘাটে এই সব অদ্ভুত কান্ডকারখানা করে বেড়ান কারণ তাঁর অন্যদের মনোযোগ পেতে ভালো লাগে। নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে গল্প করতে, নিজে কাজের কথা বলতে পছন্দ করেন তিনি।