সাধারণ গৃহবধূ থেকে 'মাফিয়া কুইন'। 'শিবপুর' ট্রেলারে সম্প্রতি ভয়ানক লুকে ধরা দিয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। স্বস্তিকার লুক ও অভিনয় সব কিছুরই প্রশংসা করলেও কম হয়। তবে আবার এই 'শিবপুর' নিয়েই বিতর্ক কিছু কম হয়নি। ছবির প্রযোজকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন স্বস্তিকা। বরাবরই ঠোঁটকাটা বলেই তাঁর পরিচিতি। অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করতে তিনি নারাজ। আর সেকারণেই হয়তবা বিতর্ক একটু বেশিই হয়। সম্প্রতি এবিষয়েই এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
সম্প্রতি সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকা সাফ জানান, ‘বিতর্ক’ শব্দটিতে তাঁর আপত্তি আছে। তাঁর কথায়, প্রতিবাদ করলেই সেটাকে ‘বিতর্ক’-এর তকমা দিলে মুশকিল। সবেতেই বিতর্কের তকমা লাগালে অন্য কেউ আর ভয়ে আর মুখ-ই খুলবেন না। স্বস্তিকা স্পষ্ট জানান, যা বলেছেন, সেটা ঘটেছে বলেই বলেছেন। এটা কোনও মার্কেটিং প্ল্যান নয়। বলেন, শিবপুর ছবিতে কাজ করার সময় যে উত্তেজনা ও ভালোবাসা নিয়ে কাজ করেছেন, তবে এখন তিনি দ্বিধাবিভক্ত। শিবপুর ছবি সকলে দেখুন এটা তিনি অভিনেত্রী হিসাবে অবশ্যই চাইবেন। তবে ছবির প্রযোজকরা তাঁর সঙ্গে যে ব্যবহার করেছেন, সেটা তিনি মানতে পারছেন না।

শিবপুরে স্বস্তিকা-পরমব্রত
'শিবপুর'-এ প্রাক্তন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করার প্রসঙ্গ উঠলে স্বস্তিকা বলেন, শিবপুরে তাঁদের একসঙ্গে খুব বেশি দৃশ্য নেই। স্বস্তিকা কিছুটা মজা করেই বলেন, ‘তাছাড়া ও পুলিশ আমি ডাকাত। ধরা দেব না। এখানে চোর পুলিশের লুকোচুরি খেলা।’ অভিনেত্রী জানান, এই ছবির দৌলতে তিনি অনেক দিন পর খরাজ মুখোপাধ্যায়, রজতাভ দত্তের সঙ্গে কাজ করেছেন।
মেয়ে অন্বেষার সঙ্গে বন্ধুত্ব নিয়েও কথা বলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। অভিনেত্রীর কথায়, ‘মানির সঙ্গে আমি সবকিছুই শেয়ার করতে পারি। এখন ও আমায় শাসনও করে। মানিকে আলাদা করে হাতে করে কিছু শেখাতে হয়নি। আমি সবসময় বলি আমরা একসঙ্গেই বড় হয়েছি। ও দেখেছে আমাকে নিয়ে চরম বদনাম রটানোর পরও আমি ছেড়ে দিই নি। আমাকে নিয়ে কুৎসা, বদনাম কম রটেনি। তবে বাবা বলতেন দাঁত কামড়ে পড়ে থাক, ঠিক বের হয়ে আসবি।’