মৃত্যুর প্রায় আড়াই বছর পর সিবিআইয়ের তরফে সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্যমৃত্যু ক্লোজার রিপোর্ট পেশ করা হল। আর তারপরই এদিন আইনজীবী মুখ খুললেন অভিনেত্রী তথা সুশান্তের প্রাক্তন রিয়া চক্রবর্তীকে নিয়ে। অভিনেত্রীর আইনজীবী সতীশ মনশিন্ডে এদিন সিবিআইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই কেসের ক্লোজার রিপোর্ট পেশ করার জন্য।
বম্বে হাইকোর্টের এই সিনিয়র আইনজীবী এদিন তাঁর এক বক্তব্যে বলেছেন যে সিবিআই গোটা কেসটার পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তদন্ত করেছে। সমস্ত ডিজ বিবেচনা করেছে, খতিয়ে দেখে তারপরই ক্লোজ করেছে। তিনি এদিন একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় রিয়াকে নিয়ে যে ভুলভাল তথ্য ছড়ানো হতো, তাঁকে দোষী বানানোর চেষ্টা করা হতো সেই বিষয় নিয়ে কথা বলেন। বাদ দেননি ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জন্য রিয়াকে যে অবর্ণনীয় যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে সেই বিষয়ে কথা বলতে। এদিন সতীশ মনশিন্ডে বলেন যে বিনা দোষেই অভিনেত্রীকে ২৭ দিন জেলে কাটাতে হয়েছে।
সিবিআইয়ের তরফে এদিন তাঁদের তদন্তের রিপোর্ট মুম্বইয়ের স্পেশ্যাল কোর্টে পেশ করা হয়েছে। এবার কোর্ট ঠিক করবে যে তাঁরা এই রিপোর্ট গ্রহণ করবে নাকি আরও তদন্তের নির্দেশ দেবে। এই কেস থেকে সিবিআই নিষ্কৃতি দিয়ে রিয়া চক্রবর্তী এবং তাঁর গোটা পরিবারকে।
প্রসঙ্গত ২০২০ সালের ১৪ জুন মুম্বইয়ে নিজের ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার করা হয় অভিনেতার দেহ। ৩৪ বছর বয়সে তাঁর এই রহস্যমৃত্যু ঘিরে সেই সময় বিস্তর জলঘোলা চলেছে। বিহার পুলিশের থেকে এই কেস নিয়ে নেয় সিবিআই।
আরও পড়ুন: 'তোমায় দেখব বলে' অপেরায় মুগ্ধ লগ্নজিতা! ইমনের সঙ্গে নাচের তালে শো জমালেন 'রঙ্গবতী' দেবলীনা
এদিন রিয়ার আইনজীবী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ' সোশ্যাল মিডিয়ায় ওঁর (রিয়ার) নামে যে ভাবে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে কী আর বলি! ওই সময় মহামারীর জন্য সকলেই টিভি দেখত, সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রেখেছিল। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার জন্য রিয়া চক্রবর্তীকে অবর্ণনীয় যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। কোনও দোষ না করেও তাঁকে ২৭ দিন জেলে কাটাতে হয়েছে। আমি ওকে স্যালুট জানাই যে উনি এবং ওঁর পরিবার এত কিছুর পরও চুপ থেকেছেন।'