গোবিন্দা এবং তাঁর স্ত্রী সুনীতা আহুজা গণেশ চতুর্থীতে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে যে চর্চা চলছে, তা পুরোপুরি গুজব। সুনীতা আরও বলেন যে, যতক্ষণ না তিনি সরাসরি এই নিয়ে কথা বলছেন, ততদিন যেন মানুষ এই ধরনের কোনো খবরকে গুরুত্ব না দেয়।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে সুনীতা আহুজা নিজেকে গোবিন্দার ‘লেডি লাক’ বলে অভিহিত করেছেন। সুনীতা বলেছেন যে গোবিন্দার ছবি তাঁর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর থেকেই চলতে শুরু করেছিল।
গোবিন্দা এবং সুনীতা আহুজার বিয়ে হয়েছিল ১৯৮৭ সালে। ইট ট্রাভেল রিপিট-এর সঙ্গে কথোপকথনে সুনীতা বলেছেন, ‘গোবিন্দা তাঁর সংগ্রামের দিনগুলিতে আমার বোনের বাড়িতে থাকতেন। তিনি প্রায় তিন বছর সেখানে ছিলেন এবং সেই সময় আমি স্কুলে পড়তাম। আমার ব্রাদার-ইন-ল একবার আমাকে বলেছিলেন যে একটা ছেলে আসছে। তোমাকে তাকে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করতে হবে। আমি শুনেছিলাম যে গোবিন্দা মেয়েদের খুব একটা পছন্দ করেন না, তাই আমি সেই চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করেছিলাম। এবং আমি তাকে ইমপ্রেস করতে সক্ষম হয়েছিলাম।’
সুনীতা আরও জানান যে, এরপর গোবিন্দা ধীরে ধীরে তাঁকে পছন্দ করতে শুরু করেন। চ্যালেঞ্জ হিসেবে শুরু হওয়া সম্পর্ক ধীরে ধীরে প্রেমে পরিণত হয়।সুনীতা জানিয়েছেন যে, অবশেষে তাঁদের বিয়ে হয় এবং আজ তিনি গর্বের সঙ্গে বলতে পারেন যে তিনি খুব খুশি। অভিনেত্রী এটাও জানিয়েছেন যে তিনি গোবিন্দার পাশে ভালো-মন্দ সমস্ত সময়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
গোবিব্দা পত্নী জানান, তিনি মনে করেন যখন কোনও নারী যখন আপনার বাড়িতে আসেন, তখন তিনি তাঁর সঙ্গে মা লক্ষ্মীকে নিয়ে আসেন। সুনীতা নিজেকে গোবিন্দার ভাগ্য বলে মনে করেন। নিজেকে গোবিন্দার গুডলক মনে করে তিনি এই সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমার শাশুড়ি (গোবিন্দার মা) মনে করতেন যে, আমি আসায় গোবিন্দার ভাগ্য খুলবে এবং আমার মনে হয় তিনি একেবারেই ঠিক ছিলেন। গোবিন্দা বি.কম ফাইনাল ইয়ারে পড়তেন যখন আমাদের কথা হয়, বাগদান হয় এবং তারপর গোবিন্দা সুপারস্টার হন।’
সুনীতা আরও বলেছেন, ‘মানুষ আমাকে তার লেডি লাক বলে। আর আমি নিজেও গোবিন্দাকে এটাই বলি। সেও এটা জানে, কিন্তু খুব কমই খোলাখুলিভাবে এটা স্বীকার করে’