কৃষ্ণনগরে কলেজছাত্রী ঈশিতা মল্লিককে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দেশরাজ সিংকে গ্রেফতার করা হল উত্তরপ্রদেশ-নেপাল সীমান্তবর্তী এক এলাকা থেকে। সেখানে ধরা পড়ার পরে ট্রানজিট রিমান্ডে দেশরাজকে কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই মামলায় দেশরাজের মামা কুলদীপ সিংকে এর আগে গুজরাটের জামনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। (আরও পড়ুন: এসএসসি অযোগ্য তালিকায় নাম ওঠা শিক্ষকদের বেতনের কত টাকা ফেরাতে হবে?)
আরও পড়ুন: বিজেপির নেতার স্ত্রীর নাম SSC-র অযোগ্যদের লিস্টে! মুখ খুললেন না অনুব্রত, TMC MLA
এর আগে গত ৩০ অগস্ট গোরক্ষপুরের দেওরিয়া শহরের কাছে শুক্রবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এক যুবককে আটক করেছিল কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের টিম। ধৃতের সঙ্গে দেশরাজের খুড়তুতো ভাই নীতিনপ্রতাপের সরাসরি যোগাযোগ ছিল বলে দাবি করা হয়। খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র জোগানোর পিছনেও ওই যুবকের ভূমিকা ছিল বলেও অভিযোগ ওঠে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হাতে পায় পুলিশ। তদন্তকারীরা দাবি করেন, গোরক্ষপুরের প্রভাবশালী ঠাকুর পরিবারের কয়েকজন সদস্য অভিযুক্তদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল। (আরও পড়ুন: SSC অযোগ্যদের তালিকায় বালুরঘাটের TMC কাউন্সিলর, পড়াতেন জীবনবিজ্ঞান)
আরও পড়ুন: শুধু মহুয়া নয়, এবার 'অভিমানী' কল্যাণের নিশানায় তৃণমূলের সব মহিলা সাংসদ!
উল্লেখ্য, গত ২৫ অগস্ট দুপুরে কৃষ্ণনগরে ঈশিতাকে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মাথায় গুলি করে খুন করেছিল দেশরাজ। উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়ায় ভাড়াবাড়িতে মা-বোনের সঙ্গে থাকত দেশরাজ। অভিযোগ, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ঈশিতাকে খুন করেছিল দেশরাজ। এদিকে দেশরাজের দুই আত্মীয় দঙ্গল সিংহ ও মঙ্গল সিংহের বিরুদ্ধে খুন-সহ প্রায় ৪০টি অভিযোগ রয়েছে। অপরদিকে দেশরাজের দাদু সরযূপ্রসাদ সিং আবার গোরক্ষপুরের দাপুটে 'মুখিয়া'। এই আবহে দেশরাজ সেখানে থাকতে পারে বলে মনে করছিল পুলিশ। সেই মতো অভিযানও চালানো হচ্ছিল। এরই মাঝে ধরা পড়ে দেশরাজের মামা। খুনের পর এই মামাকেই ফোন করেছিল দেশরাজ। মামা তাকে পালাতে সাহায্য করেছিল বলেও অভিযোগ। সেই মামা ধরা পড়ের পরেই অবশেষে ধরা পড়ল মূল অভিযুক্তও।