আরজি কর কাণ্ডে দুটো সপ্তাহ কেটে গেলেও, বিচার পায়নি ৩১ বছরের তরুণী। ডাক্তারের নৃশংসভাবে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষোভে ফুসছে গোটা রাজ্য তথা দেশ। বাংলার তারকারা রাজনীতি শিকেয় তুলে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। দেব থেকে সৃজিত, শুভশ্রী থেকে মিমি, সকলেই চাইছেন আরজি করের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত সকলেই কড়া শাস্তি পাক। নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করেছে যারা, তাদের মৃত্যুদণ্ড চাইছেন তারকারাও।
‘ভারত সরকারের কাছে একটাই আবেদন, দোষীকে ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট দেওয়া হোক'। সঙ্গে দেব নিজের বক্তব্যে যোগ করেন, ‘আমি ভারত সরকারকে বলছি। যরা ১১ বছরে রাতারাতি নোটবন্দি নিয়ে এসেছিল, রাতারাতি লকডাউন করেছিল, আর্টিকেল ৩৭০ বন্ধ করেছিল, রাম মন্দির তৈরি করেছে যারা, সেগুলো যারা করেছে তাদের কাছে আবেদন ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের। মানুষের মধ্যে ভয় নেই। যতদিন না ছেলেরাভয় পাবে মেয়েদের সঙ্গে এসব কুকর্ম করতে, ততদিন এই সংখ্যা শুধুই বেড়ে যাবে! দেখতে দেখতে ১৪ দিন হয়ে গেল। এই ১৪ দিনে গোটা ভারতে ১৪০০ ধর্ষণ হয়েছে! সমীক্ষা করে প্রতিদিন আমাদের এখানে ৯০-১০০টা ধর্ষণের কেস রেজিস্টার হয়। যদি ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট শুরু করা যায়, মানুষ ভয় পেতে শুরু করবে।’, রুক্মিণীর সঙ্গে ছুটি কাটিয়ে কলকাতায় ফিরেই, পথে নেমে বললেন দেব। অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে রেখেই, প্রতিবাদে সামিল তিনি।
তবে একা দেব ডাক দেননি ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের। একই কথা টলিউডর বহু তারকার মুখেও। অভিনেতা-সাংসদের প্রাক্তন বান্ধবী, অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতেও একই উল্লেখ। তিনি শেয়ার করেছেন, ‘এক রাতে নোটবন্দি হতে পারে, এক রাতে লকডাউন হতে পারে। তাহলে এক রাতে ধর্ষকের ফাঁসি নয় কেন!’

তবে দেব আর শুভশ্রী দুজনেই বর্তমানে নেটপাড়ার ট্রোলে। কারণ অভিনেত্রীর স্বামী তৃণমূলের বিধায়ক। আরজি কর নির্যাতিতার উপর অত্যাচার চালানো দোষীদের বাঁচানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সরকারের উপরে। তাই রাজ চক্রবর্তীও উঠে এসেছেন নিশানায়। একইভাবে দেবও। তিনি এদিন আরজি করের ভিতর থেকে উঠে আসা দুর্নীতি নিয়ে সেভাবে খোলেননি মুখ। শুধুই ধর্ষণ প্রসঙ্গ ছিল মুখে! এখন প্রশ্ন, ডাক্তার মহিলাটির এই পরিণতি কি শুধুই কিছু মানুষের পাশবিক যৌন লালসা থেকে হয়েছে, ভিতরের কোনও এমন ব্যাপার নেই কি এতে, যা জেনে গিয়েছিল মেয়েটি?
আরজি করের ঘটনার পরপরই বান্ধবী রুক্মিণী মৈত্রকে নিয়ে ছুটি কাটাতে চলে যান দেব। এমনকী, সেই ভ্যাকেশন থেকে একের পর এক ছবিও দিচ্ছিলেন দুজনে। যা নিয়ে নিজের ভক্তরাই সমালোচনা করে অভিনেতার। কলকাতায় ফিরে দেব ব্যাস্ত হয়ে পড়েন অসুস্থ বাবাকে নিয়ে। তবে শনিবার পথে নেমে বুঝিয়ে দিলেন, রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অত্যাচারের প্রতিবাদ জানাতে পিছ পা তিনি নন একেবারেই।