দুর্গাপুজোর সময় ঝড়-বৃষ্টি হবে, এমনটা শোনা যাচ্ছিলই অবশ্য। এই কয়েকদিনেও মাঝে মধ্যেই আকাশ কালো করে এসেছে, কখনও সখনও ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। তবে পঞ্চমীর দিন সক্কাল সক্কাল আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। জানালেন, ‘ঝড় বইছে, নাকি সুনামিও আসবে।’
ভাবছেন তো ঝড় কোথায়! দিব্যি তো আজ (মঙ্গলবার) সকাল থেকে বেশ ঝলমল রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া। কিন্তু ঠিক কী লিখেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়? পরিচালক X-(পূর্বে টুইটার)এ লিখেছেন, 'আজ তো সবে চতুর্থী। এখনই ঝড় বইছে। এবার সুনামিও নাকি আসবে, নাম 'টেক্কা', হ্য়াঁ, টেক্কা নামক সুনামি।' নিজেই এই পোস্ট দেব অধিকারী, রুক্মিণী মৈত্র এবং স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে ট্যাগও করেছেন সৃজিত। এবার নিশ্চয় বুঝেছেন? ঠিক কোন আবহাওয়ার পূর্বাভাস সৃজিত দিয়েছেন।
৮ অক্টোবর, অর্থৎ আজ মঙ্গলবারই মুক্তি পেতে চলেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি 'টেক্কা'। আর পরিচালকের পোস্ট থেকে জানা যাচ্ছে, টেক্কা সব শো-ই হাউসফুল কিংবা প্রায় ফুল সৃজিত মুখোপাধ্যায় যে তথ্য দিয়েছেন, সেটি হল…
সাউথ সিটি- ২টি শো
স্টার থিয়েটার- ২টি শো
নবীনা-১টি শো
এসভিএফ মালদা -১টি শো
সিলভার স্ক্রিন বহরমপুর-১টি শো
উদায়ন কেপিসি মল- ১টি শো
মোহন টকিজ বহরমপুর-১টি শো
আরও একটা স্ক্রিনশট দিয়ে সৃজিত লিখেছেন, মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টেক্কার মোট ৫ হাজার টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-‘আমি আমার স্বামীর জীবনটা কতটা হেল করে দি, সেটাও দেখতে পাবেন’ হঠাৎ কেন এমন বললেন ঋতাভরী?
অন্যদিকে Box Off Bengal-এর একটা পোস্ট শেয়ার সৃজিত মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, ইতিমধ্যে 'বহুরূপী' ও 'শাস্ত্রী' চেয়ে টিকিট বুকিংয়ে 'টেক্কা' ডবল মার্জিনে এগিয়ে রয়েছে। অর্থাৎ এই মুহূর্তে বক্স অফিসে ‘টেক্কা’-ই লিড করছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে Hindustan Times Bangla-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুক্মিণী বলেছিলেন, তিনি 'টেক্কা'র ভালো ফল নিয়ে আশাবাদী। তাঁর কথায়, 'প্রতিবাদের আবহেও এরাজ্য থেকেই হিন্দি ছবি কিন্তু দারুণ ব্যবসা করেছে, তাই 'টেক্কা' নিয়েও আশাবাদী'।
তবে টেক্কা নিয়ে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় Hindustan Times Bangla-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরজি কর আবহে টেক্কা দেখা নিয়ে বলেছিলেন, ‘কারোর ইচ্ছে হলে দেখবেন। পরিস্থিতি এমন যে বিশাল কিছু আশা কেউই করতে পারছি না। আমরা সকলেই নিজেদের মতো চেষ্টা করছি কাজ-সংসার সামলে সকলেই যাতে সুরক্ষা নিয়ে সোচ্চার হতে পারি। তবে আমরা সকল কলাকুশীলারা যাঁরা টেক্কার সঙ্গে জড়িত, তাঁরা নিশ্চয় চাইব, ছবিটা মানুষ দেখুন। তাঁদের ভালো লাগলে আমাদের জানান। একটা কাজের সঙ্গে তো শুধু অভিনেতারা যুক্ত থাকেন না, এখানে কম করে ১০০ জন লোক কাজ করেন। সকলেরই পরিশ্রম জড়িয়ে আছে। তাই মানুষের যদি মনে হয় মন ভালো করতে একটা সিনেমা দেখি, তাহলে চাইব তাঁরা যেন টেক্কা দেখেন। কারণ এটা আমার কাজ।’