ছোটো পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য। একাধিক মেগার পাশাপাশি ইতিমধ্যেই বড় পর্দাতেও দেবের নায়িকা হয়ে ডেবিউ সেরেছেন। এমনকী হিন্দি ধারাবাহিকেও কাজ করেছেন নায়িকা। যে ভাবে তিনি দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন সেই জায়গা থেকে তাঁর সাফল্য যে বেশ ঈর্ষনীয় তা বলাই বাহুল্য। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর কাজ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানান, তিনি স্লিভলেস, বা স্বল্প দৈর্ঘ্যর পোশাক পড়তে সাচ্ছ্বন্দ্য নন। তাই তাঁকে একটা সময় অনেকেই বলেছিলেন তিনি নাকি ইন্ড্রাস্টিতে কাজ পাবেন না। সেই সময় নায়িকা তাঁদের বলেছিলেন, ‘আমাকে যদি শরীর দেখিয়ে কাজ করতে হয় তাহলে আমি কাজটা করব না। আমি এখানে ট্যালেন্ট বেচতে এসেছি, শরীর না।’ আর তাঁর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গত কয়েকদিন ধরে সমাজমাধ্যমের পাতায় নায়িকার নাম না করে নানা ভাবে কটাক্ষ করেছেন ছোটপর্দার আর এক অভিনেত্রী সৌমি পাল।
আরও পড়ুন: প্রথম সপ্তাহে ১৫ কোটি পার 'ধূমকেতু'র! ‘দেশু’ জ্বরে কাঁপছে বাংলার বক্স অফিস
সৌমির শেষ কয়েকদিনে নানা পোস্ট করেছেন। একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘চাইলেই সবাই সাই পল্লবী হতে পারে না মনা। তুমি দর্শককে এই সব গল্প বলতে পারো, তবে ইন্ডাস্ট্রির মানুষ জানে তুমি এত দিন কী বেচে নায়িকা হয়েছ। যত্ত নাটক। আর মুখটা কী তোমার শরীরের বাইরের অঙ্গ?’
তারপরও আরও নানা পোস্ট করেন নায়িকা। তবে তাঁর এই সব পোস্ট দেখে শ্বেতার অনুরাগীরা রীতিমতো সৌমিকে কড়া জবাব দেন মন্তব্য বিভাগে। শেষে শনিবার একটি লাইভ করেন সৌমি। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আমার কোনও লেখায় কারুর নাম উল্লেখ্য করে কিছু বলিনি। কিন্তু আমার লিখে দেওয়া উচিত ছিল এটার সঙ্গে কোনও স্থান, কাল, ব্যক্তির মিল পেলে সেটার দায় আমার নয়। আমি ছোটবেলায় নাচ করতাম সেখানে আমার হাত, পা, মুখ শরীর দেখা যেত। আর আমাদের অভিনয়ের ক্ষেত্রেও সৌন্দর্য্য নির্ভর করে। আমাদের সৌন্দর্য্য যত দিন আছে তার উপর ভিত্তি করে নায়িকা থেকে চরিত্রাভিনেত্রী নির্বাচন করা হয়। সেখানে থেকে যদি কেউ মনে করেন যে, আমি কাউকে উদ্দেশ্য করে লিখেছি এটা, তাহলে তা তাঁদের সমস্যা, আমার নয়।’
আরও পড়ুন: দশম দিনেও বক্স অফিসে টক্কর ‘কুলি’ ও ‘ওয়ার ২’-র! আয়ের ভিত্তিতে এগিয়ে কে, রজনীকান্ত না হৃতিক রোশন?
তিনি আরও বলেন, ‘লোকজন সামনে আমাদের সম্মান করেন। পিছনে আমাদের চরিত্র নিয়ে নানা কথা বলেন। আমরা জানি এই অডিয়ো-ভিজ্যুয়াল মাধ্যমে আমাদের পর্দায় দেখা যাবে। যদি শুধু ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতাম কিংবা মুদি দোকান চালালেও আমি বলতে পারতাম যে, আমি আমার ট্যালেন্ট বেচে খাই। কিন্তু আমাদের কাজে ট্যালেন্টের পাশাপাশি সৌন্দর্য্য ও চেহারা ম্যাটার করে। আমাদের কাজে এটা দরকার হয়। আমাদের চোখ, মুখ, হাত, পা টেলেভিশনে দেখা যায় এবং এটার বিনিময়ে আমরা সত্যিই টাকা পাই। শরীর বিক্রি করে খাওয়া মানে কেউ কারুর সঙ্গে শুয়ে, বসে কাজ পাচ্ছেন এমনটা নয়। তবে আমরা আমাদের সৌন্দর্য্য বিক্রি করে খাই। কিন্তু এটা নিয়ে যদি কেউ অন্য রকম মানে তৈরি করেন, আমার সত্যি তাঁদের কথা নিয়ে সমস্যা আছে।’
নায়িকার নানা রকমের পোস্ট দেখে অনেকেই তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেন। সেই প্রসঙ্গে সৌমি বলেন, ‘চরিত্রের জন্য আমাদের রোগা, মোটা হতে হয়, সেগুলো কিন্তু খারাপ কিছু নয়। বা কোনও চরিত্রের জন্য স্বল্প দৈর্ঘ্যের কোনও পোশাক পড়তে হলেও সেটা কিন্তু খারাপ নয়। আমাকে অনেকেই বলছিলেন ক্ষমা চাওয়া জন্য। কিন্তু আমার যদি কিছু নিয়ে সমস্যা হয় তবে আমি সেটা নিয়ে বলতেই পারি। আর সেটার জন্য আমি ক্ষমা চাইতেও বাধ্য নই।’ তবে এই লাইভের পরও নায়িকার প্রতি নেটিজেনদের কটাক্ষ অব্যহত।