Sayak-Sushmita: ‘বৌদির বুক পিঠে ঠেকলে আমার সেক্স ওঠে না..’, সুস্মিতাকে টেনে নোংরা আক্রমণ, শালীনতার পাঠ দিলেন সায়ক

সোশ্যাল মিডিয়ার অতি পরিচিত মুখ সায়ক ও তাঁর ‘কুটনি বৌদি’ সুস্মিতা রায়। অভিনয়ের সুবাদে দীর্ঘদিন ধরেই টলিপাড়ার পরিচিত নাম সায়ক ও সুস্মিতা। ‘কৃষ্ণকলি’ খ্যাত সুস্মিতাকে নিজের বৌদি হিসাবে পছন্দ করেছিলেন সায়ক। নিজে ঘটকালি করে দাদার বিয়ে দেন। এই দেওর-বৌদি রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন। তাঁদের ফেসবুক ভ্লগ তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করে নেটপাড়া।ফেসবুক ভিডিয়োয় নানান মজাদার ভিডিয়ো পোস্ট করেন দুজনে। সায়ক ও তাঁর মায়ের ভিডিয়ো যেমন পছন্দ দর্শকদের, তেমনই ‘কুটনি বৌদি’র (মজা করে সুস্মিতাকে এই নামে ডাকে সায়ক) জুটিও ট্রেন্ডিং। তবে প্রশংসার পাশাপাশি গুটিকয়েক মানুষ অকারণে কুরুচিকর আক্রমণ করে থাকেন সায়ক-সুস্মিতাকে। এবার ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙল অভিনেতার। রবিবার ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো আপলোড করেন সায়ক। সেখানে বৌদির বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, এক বছর আগে জুতো আবদার করেছিলেন তিনি, কিন্তু পাননি। এবার ‘কুটনি বৌদির থেকে’ বিশেষ উপহার চাই তাঁর। এবং স্পষ্ট বলেন, এবার বৌদির ‘গলা (পড়ুন পকেট) কাটবেন’ দামি উপহার নিয়ে। দেওর-বৌদির এই খুনসুটি ২৪ ঘন্টায় লক্ষাধিক মানুষ দেখেছেন। এর মধ্যে একজন মহিলা নেটিজেন সুস্মিতাকে আক্রমণ করে লেখেন, ‘গায়ে পড়ছো কেন ছোট্ট ছেলেটার?’ সায়কের হবু বউ নিশ্চয় বৌদিকে যোগ্য জবাব দেবে, এমন ভবিষ্যতবাণীও করেন সেই নেটিজেন। বৌদির এই বিদ্রুপ হজম করেননি সায়ক। কড়া ভাষায় জবাব দেন। লেখেন, ‘কাকিমা বলছিলাম, আপনারও নিশ্চয় ভাই বা দেওর আছে। বৌদি মায়ের সমান হয়। একটু কাঁচা ভাষা বলছি ক্ষমা করবেন। সেই বৌদি পিঠ থেকে জড়ালে বা তার বুক আমার পিঠে ঠেকলে আমার সেক্স ওঠে না’। সম্পর্কের পাঠ দিয়ে সায়ক বলেন, এইগুলো যদি কেউ বুঝতে না পারে তাহলে তার চোখে কাপড় বেঁধে থাকা উচিত। এই ব্যাপারে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে সায়ক বলেন, ‘বৌদিকে নিয়ে এই প্রথমবার আমার ফেসবুক ওয়ালে এমন অশ্লীল মন্তব্য এল। এগুলো যে লিখেছে তার নিকৃষ্ট মানসিকতার পরিচয়। বৌদি সত্যিই মায়ের সমান। খুবই মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল, তখন যা মনে হয়েছে লিখেছি। হয়ত ওঁনার ভাই বা দেওর ওঁনার পাশে বসলে ওঁনার মধ্যে যৌন উদ্দীপনা জেগেছে হয়ত’।এ তো গেল ট্রোলিং-এর কথা! আপতত সান বাংলার ‘মঙ্গলময়ী মা শীতলা’য় দেখা যাচ্ছ সায়ককে। অভিনেতার বিয়ে নিয়ে হাজারো প্রশ্ন ভক্ত মনে। সেই নিয়ে কী ভাবছেন সায়ক? অকপটে বললেন, ‘আপতত বিয়ের কোনও প্ল্যান নেই। চারিদিকে এত ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এত সম্পর্ক ভাঙছে। আমার সম্পর্ক হারানো বা কাছের মানুষকে দূরে চলে যেতে দেওয়াতে খুবই আতঙ্ক আছে। সেই কারণেই আমি বিয়ে করতে চাইছি না। আমি মা-বাবা, দাদা-বৌদি আর প্লু (সায়কের চারপেয়ে সন্তান)-কে নিয়ে ভালো আছি। এখন চাইছি বাড়িতে একটা ছোট্ট সদস্য (দাদা-বৌদির সন্তান) আসুক। সেই জন্য একটা নতুন ফ্ল্যাট (3BHK) কেনার পরিকল্পনাও রয়েছে’। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি বৌদির পকেট কেটে সোনার আংটি কিনেছে সায়ক।