রাজ্য জুড়ে মাখোমাখো শীতের আমেজ। আর শীতকাল আসতে না আসতেই শহরে বা মফস্বলে বিভিন্ন রকমের কনসার্ট, মেলা, অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। আর এ যদি ‘ফসিলস’-এর কনসার্ট হয়, তাহলে বাঙালির আবেগ কে ধরে রাখে। মঞ্চে রূপস ইসলামের সেই দাপট আজও বিরাজমান।
সম্প্রতি বনগাঁয় একটি কনসার্টে গিয়েছিলেন গায়ক রূপম ইসলাম। গোটা এলাকায় শ্রোতাদের উপচে পড়া ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। গুরু রূপমকে একবার কাছ থেকে দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছিলেন ভক্তরা। থিক থিক করছে গোটা স্টেডিয়াম। দর্শকদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস, একের পর এক অনুরোধের গান গেয়েই চলেছেন রূপম। সবকিছুর মাঝেই হঠাৎ করে ছন্দপতন। ডান পায়ের লিগামেন্টে গুরুতর চোট পেলেন রকস্টার। আরও পড়ুন: বাড়িতে ক্রিসমাস ট্রি সাজালেন শ্বেতা, মায়ের সাহায্য করতে এগিয়ে এল ছেলে রেয়াংশ
সেই সময় অনেকেই মনে হয়েছিল, অনুষ্ঠান কি থেমে যাবে? বোধহয় শো-টা বন্ধ হয়ে যাবে! কিন্তু, তিনি তো রকস্টার। ফের প্রমাণ করে দিলেই তিনি এখনও একই রয়েছেন। এসব কিছুতে ঘা লাগেনা তাঁর। লিগামেন্টের চোট নিয়েও রীতিমতো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে অনুষ্ঠানে একের পর এক গান গেয়ে মঞ্চ মাতিয়ে রাখলেন রূপম ইসলাম।

রূপম ইসলামের ফেসবুক পোস্ট
এ বিষয় বাংলার এক ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমকে রূপম ইসলাম জানিয়েছেন, স্টেজে দৌঁড়তে গিয়েই পায়ের লিগামেন্টে চোট পেয়েছেন ৷ মঞ্চের পিছনে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু খুব একটা সুবিধে হয়নি। একদিকে মিউজিক বাজছে, অন্যদিকে শ্রোতারা অপেক্ষায় ছিলেন রকস্টারের। সব মিলিয়ে পায়ে চোট নিয়েই মঞ্চে ফিরে আসেন তিনি। পুরো অনুষ্ঠানটাই নিজস্ব গতিতে ধরে রেখেছিলেন।
জানা গিয়েছে, আগামী দু'মাসের মধ্যে মোট ১৮ টির মতো কনসার্ট রয়েছে রূপমের। কলকাতায় ফেরার পর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। আগের চেয়ে অনেকটাই ঠিক আছেন তিনি। বাড়িতে ফিজিওথেরাপি চলছে। ফেসবুকে এক ভক্তের পোস্ট শেয়ার করে রূপম জানিয়েছেন, ‘যেমন কাল দেখলে, আমি দাঁড়াতে পারছি। হাঁটতে পারছি ক্রাচের সাহায্যে। দৌড়তে বা লাফাতে না। সিঁড়িতে ওঠা নামায় সমস্যা আছে। স্টেজে কাল সংযতই ছিলাম’। গায়কের দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার কামনা করছেন ভক্তরা।