'ওমা এ কী কতা বাছা', সিরিয়ালপ্রেমীরা এখন এই সংলাপ শুনলে চোখ বন্ধ করে একজনের মুখই দেখতে পান। জি বাংলার কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিকের শিমুলের শাশুড়ির। তাঁর অসভ্য আচরণ, বউকে জ্বালানো এসব দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ সকলেই।
কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিক এখন দর্শকদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে, আর হবে নাই বা কেন শিমুল-পরাগের ফুলসজ্জার খাটে বউকে সরিয়ে যে শাশুড়ি শুয়েছে, সেই নিয়ে কম ট্রোল, কম কটাক্ষ হয়েছে? তারপর এই তো কিছুদিন আগেই পাশের বাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গেছে বলে কত হেনস্থাই না হতে হল তাকে! এমনকি বাপের বাড়ির লোক ডেকে বউকে বের করে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে শিমুলের শাশুড়ি। ফলে এ হেন মহিলাকে যে দর্শকদের 'মোটে পছন্দ হবেনি কো' সে তো জানা কথাই! আর এই শিমুলের শাশুড়ির চরিত্রে অভিনয় করছেন ঋতা দত্ত চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: শিমুলের সঙ্গে আর সংসার করবে না পরাগ, এবার কি বাড়ি ফিরে যাবে সে?
দিদি নম্বর ১ -এর মঞ্চে এদিন অন্যান্য অভিনেত্রীদের সঙ্গে খেলতে এসেছিলেন তিনি। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় যে এই চরিত্রের জন্য তিনি যে এত কথা শুনছেন, লোকজন এত কটূ কথা বলছে তাঁর খারাপ লাগে না? উত্তরে ঋতা বলেন, 'যখন যে চরিত্রে কাজ করি তখন সেই চরিত্রের প্রতি প্রেম জন্মে যায়। যখনই কেউ বলে ভাইরাল হয়ে গেছ, দেখো লোকে কী বলছে তখন আমি তাঁদের বলি জানেন তো যখন দীনবন্ধু মিত্র নীলদর্পণ লেখেন তখন নীলকর সাহেবের ভূমিকায় অর্ধেন্দু শেখর মুস্তাফি অভিনয় করেছিলেন। তাঁর অভিনয় দেখে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তাঁকে জুতো ছুঁড়ে মেরেছিলেন। তিনি সেটা মাথায় করে রেখেছিলেন। কারণ তাঁর চরিত্রের জন্য সেটাই তাঁর বড় পাওনা ছিল। আমিও এখন সেভাবেই দেখি সবটা। খারাপ লাগে না। এটাই আমার কাজের স্বীকৃতি।'