আধ্যাত্মিক গুরু প্রেমানন্দ মহারাজের ভক্ত সংখ্যা অগুণতি। তালিকায় রয়েছেন দেশের তাবড় নেতা থেকে অভিনেতা-গায়ক। বৃন্দাবনের সৎসঙ্গ এখন বিনোদন জগতের মানুষদের নিয়মিত আকৃষ্ট করছে। শিল্পা শেট্টির পর ব়্যাপর বাদশাও তাঁর আশ্রমে পৌঁছে যান আর্শীবাদ নিতে।
বাদশার সঙ্গে ছিলেন তাঁর দাদা। মনের প্রশ্নটা তিনি প্রেমানন্দজির সামনে রাখলেন। তিনি বলেন, সত্যের পথে চললে সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন। এর লা-জবাব উত্তর দেন প্রেমানন্দজি।
বাদশার ভাই প্রেমানন্দজীকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘মানুষ পৃথিবীতে কেন এসেছে? আমরা সবাই ভাবতাম পৃথিবীতে সবাই কি একে অপরকে সাহায্য করতে এসেছে? এই পৃথিবীতে অনেকেই সত্য শুনতে চায়, কিন্তু যখন আপনি সত্য কথা বলেন, তখন সম্পর্ক ভেঙে যায়, ভালোবাসাও ফুরিয়ে যায়। কিন্তু সত্যের আকাঙ্ক্ষা জাগতেই হবে, কিন্তু সত্য উচ্চারিত হলেই সব দূর হয়ে যায়। যেন কেউ অভিশাপ দিয়েছে- মানুষ শেষ হয়ে যাবে, না সে নিজের কর্ম করতে পারবে না কাজে মন দিতে পারবে।’
এ বিষয়ে প্রেমানন্দজী বলেন, সামান্য ব্যক্তি শক্তিশালী হলে ঈশ্বর তাকে সমর্থন করেন। দুনিয়া অসত্যে লিপ্ত, সত্যে লিপ্ত হলে আপনি কোনও পক্ষ পাবেন না, বরং আপনি এমন পক্ষ নেবেন যার পক্ষ নিলেই সবাই পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে যাবে। সত্য কথা বললে মানুষের আচরণে তিক্ততা থাকবে, কিন্তু ভগবান সন্তুষ্ট হলে সবাই আপনাকে প্রণাম করবে। কোথাও না কোথাও সত্যকে সম্মান করা হচ্ছে, নইলে মানুষ এখানে আসবে কেন? সাধু-সন্ন্যাসীরা সত্য পথের পরিব্রাজক। তাই সত্য বলতে নিরুৎসাহিত হবেন না।'
হাঁটু গেড়ে বসে প্রেমানন্দজির কাছে আর্শীবাদ নিলেন বাদশা, পরন ছিল সাদার উপর প্রিন্টেট শার্ট আর গলায় লাল ও সোনালি রঙা উত্তরীয়। শান্ত হয়ে গুরুজির কথা শুনলেন।
কিছুদিন আগে শিল্পা শেট্টি ও তাঁর স্বামী প্রেমানন্দ মহারাজজির কাছে হাজির হয়েছিলেন। আধ্যাত্মিক গুরুর দুটি কিডনিই বিকল জেনে তাঁকে কিডনি দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন শিল্পার স্বামী রাজ কুন্দ্রা, তবে তা নিতে অস্বীকার করেন প্রেমানন্দ মহারাজ। স্পষ্ট জানান, পৃথিবীতে তাঁর সময় ফুরিয়ে এলে ঈশ্বর ডাক দেবেন, সেই ডাককে তিনি অবহেলা করতে চান না।