২০০৮ সালে 'জানে তু ইয়া জানে না' ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় ডেবিউ করেছিলেন প্রতীক বব্বর। তবে একটু এদিক-ওদিক হলেই ব্যাপারটি অন্যরকম হতেই পারত। আব্বাস টায়ারওয়ালার বদলে সঞ্জয় লীলা বনশালির হাত ধরে বলিপাড়ায় পা রাখতে পারতেন তিনি। আজ্ঞে হ্যাঁ, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের মুখেই একথা জানিয়েছেন প্রতীক। প্রতীকের কথাতেই জানা গেল, 'সাওয়ারিয়া' ছবির জন্য তাঁকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন বনশালি। তবে সেই সময় রিহ্যাবে ছিলেন প্রতীক, ফলে সেই সুযোগ ফস্কে যায়।ম্যাশবেল ইন্ডিয়া-কে এক সাক্ষাৎকারে দেওয়াকালীন প্রতীক নিজেই ফ্যানস করেন এই ঘটনার। বলি-অভিনেতার কথায়, 'একটি মজার ঘটনা বলি। বনশালিজি আমার জন্য বাড়িতে যোগাযোগ করেছিলেন তাঁর 'সাওয়ারিয়া' ছবির জন্য। তখন আমার বছর ১৮ বয়স। সেই সময় আমি বাড়িতেও ছিলাম না। রিহ্যাবে সময় কাটাচ্ছি। পরে বাড়ি ফিরে একথা জানতে পেরেছিলাম।'তবে বনশালির পরিচালনায় সেই ছবিতে কাজ করার সুযোগ ফস্কে যাওয়ার জন্য যে তাঁর দারুণ আফসোস হয়েছিল, এমনটি মোটেই নয়। বলি-অভিনেতা জানিয়েছেন সেই সময়ে তিনি যথেষ্ট ছোট ছিলেন। আর অভিনেতা হওয়ার বিন্দুমাত্র কোনও ইচ্ছাও তাঁর ছিল না। বলি-অভিনেতার কথায়, 'ওই সময়টায় রকস্টার হতে চাইতাম। চুল বড় রাখতাম, মুখে রকস্টারদের মতো মেক আপ করতাম এবং মঞ্চে পারফর্ম করতে চাইতাম। তার আগে স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হওয়ার। দূর-দূরন্ত অবধি অভিনেতা হওয়ার কোনও ভাবনাই ছিল না। হঠাৎ করেই এই পেশায় চলে আসা। এরপর তো ধীরে ধীরে অভিনয়ের প্রেমে পড়লাম।'প্রসঙ্গত, প্রতীকের বাবা রাজ বব্বর একজন সুপ্রতিষ্ঠিত অভিনেতা। আশির দশকে চুটিয়ে বড় ব্যানারের সব ছবিতে কাজ করেছেন। অন্যদিকে, প্রতীকের প্রয়াত মা স্মিতা পাটিল-কে বলা হয় ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম শক্তিশালী অভিনেত্রী।