দু-সপ্তাহ আগে গায়ক শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন সোহিনী সরকার। এই বিয়ে ঘিরে কম বিতর্ক হয়নি। অতীত সম্পর্ক টেনে ট্রোলড হয়েছে দুজনেই। তবে সে-সব ভুলে নতুন জীবনে মজে বর-কনে। দিন কয়েক আগেই প্রাক্তন প্রেমিক রণজয় বিষ্ণুকে নিয়ে বোমা ফাটিয়েছেন সোহিনী। আকারে-ইঙ্গিতে রণজয়ের অপর প্রাক্তন সায়ন্তনী গুহঠাকুরতার ভাইরাল ফেসবুক পোস্টে সম্মতি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-মাথায় সিঁদুর, সিমন্তনী সোহিনী বিয়ের পর প্রথম এল সামনে, খোলেননি হাতের শাঁখা-পলা
এর মাঝেই বিয়ের পর প্রথম প্রকাশ্যে এলেন নায়িকা। প্রথম অ্যাপিয়ারেন্সে একদম লক্ষ্মীমন্ত বউমা রূপে ধরা দিয়েছেন সোহিনী। তবে সেই ভিডিয়োতে সোহিনীর পাশে থাকা মহিলাকে দেখেছেন? সোহিনীর বিয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এক ছবি, যেখানে এই যুবতীকে সোহিনীর শাশুড়িমা বলে দাবি করা হয়েছিল। হু হু গতিতে ছড়িয়ে পড়ে সেই ছবি। চলে লাইক-কমেন্টের বন্যা। অনেকেই লাল পেড়ে কালো শাড়ি পরা সুন্দরীকে শোভনের মা বলে ভুল করে বসেন!
আসলে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এক্কেবারে দূরে থাকেন শোভনের মা। তাই সোহিনীর পাশে থাকা ওই মহিলাকে দেখে গুলিয়ে ফেলেছেন অনেকেই। সেখানে কেউ লিখেছেন, ‘সারাজীবন দুজনে শান্তিতে সংসার করো’। কেউ লিখেছেন, ‘দুর্দান্ত’। এই খবর কানে পৌঁছেছে সোহিনী এবং সেই যুবতীরও। সেই নিয়েই বন্ধুর সঙ্গে খুনসুটি করতে ছাড়ছেন না সোহিনী।
জানুন সেই ভাইরাল কন্যের পরিচয়
সোহিনীর পাশে দাঁড়ানো মেয়েটি আসলে নায়িকার ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথা ম্যানেজার সায়নী রায়। সোশ্যাল ইয়ার্ড নামের এক পিআর এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। আশ্চর্যজনকভাবে শুধু সোহিনী নন, একটা সময় তাঁর প্রাক্তন রণজয় বিষ্ণুকেও ম্যানেজ করতেন সায়নী। তবে এখন সেই পেশাদার সম্পর্কের পাঠ চুকেছে।
সোহিনীকে এদিন দেখা গিয়েছে লাল শাড়ি আর কনট্রাস্ট করা সবুজ ব্লাউজে। হাতে শাঁখা-পলা, সিঁথি রাঙানো শোভনের নামের সিঁদুরে। নাকে নোলক, চুল খোঁপা করে বাঁধা রয়েছে। পাপারাৎজিদের ক্যামেরায় বন্দি হওয়ার সময় ভুয়ো শাশুড়ির সঙ্গে মজা করে সোহিনীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘দেখ শাশুড়িমা আজ কেমন মর্ডান পোশাক পরেছে..’। এদিন সায়নীকে পাওয়া গিয়েছে চকোলেট রঙা জাম্প স্যুটে।
'রণজয়কে ছেড়েছি শোভনের কারণে?' বিয়ের পরই প্রাক্তনকে নিয়ে বিস্ফোরক সোহিনী সরকার!
সম্প্রতি প্রাক্তন রণজয়কে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন সোহিনী। তিনি টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চাঁচাছোলা ভাষায় প্রাক্তনকে বিঁধে বলেন , ‘কেউ উঁচুতে উঠলে তাঁকে নিয়ে সমালোচনা হবে, সেটা স্বাভাবিক।…. সমস্যা সেখানে নয়, সমস্যাটা হল যখন রণজয় বিষ্ণুর মতো মানুষেরা ভাল চাই দেখানোর নাম করে লাগাতার সাক্ষাৎকার দিয়ে চলেছে। কেউ কারও ভাল যদি সত্যি চেয়ে থাকে তবে সে তো আমায় ব্যক্তিগত ভাবে সেই ভাল চাওয়াটা ব্যক্ত করবে।’