২০০৮ সালে শুটিংয়ের সময় তনুশ্রী দত্তের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগ ওঠে নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে। ফের একবার তা অস্বীকার করলেন নানা পাটেকর।
তনুশ্রীর আনা মি টু-র অভিযোগে মুখ খুললেন নানা।
২০১৮ সালে মি টু আন্দোলনের সময় নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন অভিনেতা তনুশ্রী দত্ত। ২০০৮ সালে 'হর্ন ওকে প্লিজ' ছবির একটি গানের শুটিংয়ের সময় তিনি তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ নিয়ে নতুন করে বিবৃতি দিলেন নানা। দ্য লালানটপকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বর্ষীয়ান অভিনেতা বলেন, তিনি প্রথম থেকেই জানতেন যে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা, যে কারণে তিনি কখনও রাগ করেননি।
'পুরোটাই মিথ্যে'
নানা বললেন, ‘আমি জানতাম পুরোটাই মিথ্যে। তাই রাগ করিনি। সবই যখন মিথ্যা, তখন আমি রাগ করব কেন? আর এ সবই জিনিসই পুরনো। এর আগেও হয়েছে। এই নিয়ে কী আর কথা বলব। সেই সময় আমি কী বলতে পারি যখন এরকম কিছু ঘটেনি? হঠাৎ কেউ বলছে তুমি এটা করেছ, তুমি ওটা করেছ। এত কিছুর কি জবাব দিতাম? আমার কি বলা উচিত ছিল, যে আমি এটা করিনি? আমি সত্যিটা জানি যে, আমি কিছুই করিনি।’
তনুশ্রী ২০১৮ সালে ভারতে মি টু আন্দোলন শুরু করেছিলেন যখন তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, নানা পাটেকর, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য এবং পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী একটি ছবির শুটিংয়ের সময় তার সাথে অনুপযুক্ত আচরণ করেছিলেন।
তনুশ্রী তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ২০০৮ সালে 'হর্ন ওকে প্লিজ' ছবির একটি গানের শুটিংয়ের সময় নানা তাঁকে যৌন হেনস্থার চেষ্টা করেছিলেন। তনুশ্রী বলেছিলেন যে, গানটি একজন অভিনেতাকে নিয়েই শুট করার কথা ছিল, তবে তাও নানা শুটিংয়ের দিন সেটে উপস্থিত থাকতেন।
এই অভিযোগ করার পর থেকে মুখোমুখি হওয়া প্রতিকূলতার সম্বন্ধে বলতে গিয়ে তনুশ্রী ২০২২ সালের একটি সাক্ষাৎকারে হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছিলেন, ‘আমি ভারতে ফিরে আসার পর থেকে অনেক কিছু ঘটেছে। আমি আমার ক্যারিয়ারকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছি, এবং এই বলিউড মাফিয়ারা পরিস্থিতি কঠিন করার চেষ্টা করেছে। যদিও তা সত্ত্বেও আমি কিছু ওয়েব সিরিজের অফার পেয়েছিলাম। সেগুলো সাইনও করি। কিন্তু সেগুলি বাস্তবায়িত হয়নি। হঠাৎ করে প্রযোজক বা পরিচালক ছদ্মবেশী মোডে চলে যান, বা স্পনসর বাদ পড়েন।’