সম্প্রতি মমতা শংকরের একাধিক মন্তব্যের জেরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পীকে নিয়ে চলেছে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ। কখনও নেপথ্যে থেকেছে মহিলাদের পোশাক কখনও আবার পথঘাটে চুমু খাওয়া প্রসঙ্গ। এদিক মাকে নিয়ে কী বললেন রাতুল শংকর ঘোষ?
আরও পড়ুন: বাবা সিদ্দিকি নন, সলমনকেই গুলি করতে চেয়েছিল সেদিন বিষ্ণোই গ্যাং, চার্জশিটে জানাল পুলিশ!
মমতা শঙ্কর এবং বিতর্ক নিয়ে কী বললেন রাতুল শঙ্কর ঘোষ?
মমতা শংকরের মন্তব্যের জেরে বারংবার যে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে তাতে অনেকেই তাঁকে প্রাচীনপন্থী বলে দেগে দিয়েছেন। এই বিষয়ে কিন্তু তাঁর ছেলে রাতুল শংকর একেবারেই ভিন্ন মত পোষণ করেন। তিনি আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, 'আমার মা একেবারেই প্রাচীনপন্থী নন। তিনি ভীষণ আধুনিক। তবে নিজের শিকড়, নিজের অস্তিত্ব বা সংস্কৃতিকে ভুলে নয়। মা নিজের মতামত তাঁর সেই বিশ্বাসের জায়গা থেকেই জানান।'
তিনি এদিন আরও বলেন, 'কিছু মানুষ বসেই থাকেন বিতর্ক করার জন্য। সাম্প্রতিককালে মায়ের কথায় অনেক বিতর্ক হয়েছে, এটা কিছু করার নেই। মা বিতর্কের পরও কখনও নিজের বিশ্বাস থেকে নড়েননি। পাশ্চাত্যের ফেলে দেওয়া অভ্যাস আমরা আপন করছি, তাই দেশের উন্নত সংস্কৃতির কথা বলেছেন। মা নিজের বিশ্বাসে স্থির তাই এসবের (বিতর্ক) পরেও মা, আমরা স্বাভাবিক। এসব আমাদের ছুঁতে পারে না।' প্রসঙ্গত রাতুল শঙ্কর পেশায় সঙ্গীত পরিচালক।
মমতার কোন কথায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে?
সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় যেখানে দেখা যাচ্ছে কালীঘাট মেট্রোতে এক যুগল চুমু খাচ্ছে প্রকাশ্যে। সেই প্রসঙ্গে মমতা শংকর জানান এসব বাড়ছে বলেই নাকি আজকাল এত রেপ হচ্ছে। তিনি এই বিষয়ে বলেন, 'এর মতো খারাপ জিনিস হয় না। আমি এর বিরুদ্ধে। এরপর তো সমস্ত কিছু করার সাহস হয়ে যাবে। স্থান-কাল-পাত্র বলে কোনও ব্যপার থাকবে না! এটা কী, আমরা কী! জন্তুরাও তো আমাদের থেকে অনেক ভালো। এই জন্যই তো এসব হচ্ছে আজকাল, এত রেপ হচ্ছে, আজকাল এতকিছু হচ্ছে। বাচ্চাদের হাতে ফোন যাচ্ছে, ওরা ছোট থেকেই এইসব দেখছে।'
আরও পড়ুন: ফারহানের রক অনের গল্পের অনুপ্রেরণা ক্যাকটাস! চাঞ্চল্যকর দাবি সিধুর
এর আগে মহিলাদের শাড়ির আঁচল নিয়ে মন্তব্য করেও বিতর্ক উসকে দেন তিনি। বলেন, 'আমি শাড়ি পরব কিন্তু আঁচলটা জায়গামতো থাকবে না, এটা ভাবনাটা বুঝতে পারি না। ক্ষমা করবেন, এটা বলছি বলে- যাদের আমরা রাস্তার মেয়ে বলতাম, যাঁরা ল্যাম্পপোস্টের নীচে দাঁড়িয়ে থাকে এমন মেয়ে বলতাম, তাঁরা এইরকমভাবে দাঁড়াত। এঁরা মানুষকে অ্য়াট্রাক্ট করার জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন, এটা তাঁদের পেশা, আমি তাঁদেরও শ্রদ্ধা করছি। আজকাল যাঁরা বিনা কারণে ওইরকমভাবে শাড়ি পরনে। এবং তারপর লোকে কিছু বললে রেগে যান। বলেন মেয়েদের নীচু করা হচ্ছে। মেয়েরাই তো মেয়েদের নীচু করছি আমরা। আমি সেটার বিরুদ্ধে। একটা শালীনতার জায়গা আছে যেখানে পুরুষ আমাদের সম্মান দেবে।'