বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় এবং আইকনিক ছবি হল রক অন। কিন্তু জানেন কি এই বলিউডি ছবির গল্প এক বাংলা ব্যান্ডের গল্পের উপর ভিত্তি করে বানানো। ভাবছেন কোন ব্যান্ড? ক্যাকটাস। আর সেই কথা নিজেই এদিন প্রকাশ্যে আনলেন সিধু।
আরও পড়ুন: বাবা সিদ্দিকি নন, সলমনকেই গুলি করতে চেয়েছিল সেদিন বিষ্ণোই গ্যাং, চার্জশিটে জানাল পুলিশ!
রক অন নিয়ে কী জানালেন সিধু?
২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া অভিষেক কাপুর পরিচালিত রক অন ছবিটিতে উঠে এসেছিল ৪ মিউজিশিয়ানের কথা, যাঁরা ব্যান্ড বানানোর সেটাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখলেও নানা সমস্যার কারণে পারেনি। ফারহান আখতার, অর্জুন রামপাল অভিনীত ছবিটি বহুল প্রশংসিত হয়েছিল। কিন্তু জানেন কি এই ছবিটি আসলে বাংলা ব্যান্ড ক্যাকটাসের গল্পের উপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছে? এদিন নিজেই সেই তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন সিধু।
সকলেই জানেন ক্যাকটাস ব্যান্ডটি একাধিক বার ভাঙা গড়ার মধ্যে দিয়ে গেছে। ফাটল ধরেছে মেম্বারদের মধ্যে, আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আর সেটাই ভিত্তি ছিল রক অন ছবির। এই বিষয়ে এদিন সৌরভ চট্টোপাধ্যায় যখন সিধুকে জিজ্ঞেস করেন যে 'একটা ব্যান্ড কেন ভেঙে যায় বারবার?' তখন গায়ক বলেন, 'রক অন দেখেছ নিশ্চয়। রক অনের গল্প কিছুটা ক্যাকটাসের উপর বেস করে। রক অনের যে চিত্রনাট্য করেছিল পূর্বালি চৌধুরী, আমাদের খুব কাছের বন্ধু ছিল। ইনফ্যাক্ট আমাদের যে বেসিস্ট তার সঙ্গে প্রেম করত। তো আমাদের রিসার্সলে আসা, আমাদের সঙ্গে ভাগ করে খাওয়া, শোতে যাওয়া সবটাই খুব কাছ থেকে দেখেছে।'
একই সঙ্গে এরপর সিধু জানান, 'ব্যান্ডের ভিতরের স্ট্রাকচার ডেমোক্রেটিক, সবার মতামতকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাইরে দিয়ে, যারা ভোকালিস্ট তাদের ব্যান্ড বলেই পরিচিত হয়। তো এটা নিয়ে বাকিদের কষ্ট তো হয়ই। কেউ যদি এটা মেনে নেয়, তার সমস্যা হয় না। আর যারা পারে না তাদের মধ্যে সেটা থেকেই যায়। কখনও সেটা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তো ব্যাংকের জন্য এটা একটা দুর্বল জায়গা বটেই।'
আরও পড়ুন: বিদ্যাসাগর কলেজে বিনোদিনীর প্রচারে রুক্মিণী-রামকমল, সঙ্গে হাজির কুণাল ঘোষও!
একই সঙ্গে এদিন সিধু জানান যেহেতু তিনি ব্যান্ডের বাকিদে তুলনায় বেশি পরিচিত তাই তিনি চেষ্টা করেন ব্যান্ডের অভ্যন্তরীণ কোনও মতামত নেওয়ার সময় চুপ থেকে বাকিরা যেটা বলছে সেটা শোনার, মানার। সেই জায়গাটা দেন সহকর্মীদের।