ফের বিতর্কে পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট পর্নহাব(Pornhub), এবার এই প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিল প্যারিসের ল্যুভর জাদুঘর। সৌজন্যে পর্নহাবের নতুন চমক ‘ক্লাসিক ন্যুডস’। পর্নপ্রেমীদের পছন্দের ঠিকানা এই ওয়েব প্ল্যাটফর্ম। সম্প্রতি কালজয়ী চিত্রশিল্পীদের আঁকা নানান ছবি-র অ্যাডাল্ট ছবির তারকাদের দিয়ে রি-ক্রিয়েট করিয়ে বিতর্কে এই ওয়েবসাইট। শুধু ল্যুভর মিউজিয়ামই নয়,ইতালি এবং লন্ডনের বিভিন্ন শিল্প সংগ্রহশালাও একই অভিযোগ এনেছে পর্নহাবের বিরুদ্ধে।জানা গিয়েছে, ‘ক্লাসিক ন্যুডস’-এ বিশ্বের নানা প্রান্তের মিউজিয়ামে সংরক্ষিত ঐতিহাসিক মূল্যবান নানান নগ্ন (Nude) ছবি ও স্থাপত্যগুলোর ব্যাখ্যা করেছেন পর্নস্টাররা, কিন্তু এখানেই থেমে থাকেননি তাঁরা, একধাপ এগিয়েপর্ন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সেইসব চিত্র বা স্থাপত্যগুলিকে নকল করেছেন সেখানে। অর্থাত্ পর্দায় কোনও নির্দিষ্ট শিল্পীর সৃষ্টি ব্যাখা করবার পাশাপাশি ওই চিত্রকলা বা ভাস্কর্যের জীবন্ত প্রতিরূপ নির্মাণ করেছেন তাঁরা। এই নিয়েই যাবতীয় গণ্ডোগোল।ল্যুভর মিউজিয়ামের তরফে দাবি করা হয়েছে, কোনওরকম অনুমতি না নিয়েই ক্লাসিক ছবির এমন জীবন্ত রি-ক্রিয়েশন করেছে পর্নহাব। মেইল অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কানাডীয় পর্ন ওয়েবসাইটের এই সিরিজের প্রথম পর্ব ‘মাই সুইট অ্যাপেল’-এ ল্যুভর জাদুঘরের পাশাপাশি প্যারিসের Musee d'Orsay এবং লন্ডনের দ্য ন্যাশন্যাল গ্যালারি এবং ফ্লোরেন্সের Uffizi গ্যালারির ইরোটিক চিত্রশিল্পের ব্যাখা দেওয়া হয়েছে ও রি-ক্রিয়েট করা হয়েছে। পর্নহাবের দাবি, বিশ্ববিখ্যাত ইরোটিক পেন্টিংগুলির অন্তর্নিহিত বিষয়বস্তু সহজে বোঝাতেই এই উদ্যোগ। ইরোটিক ছবিগুলোর সঙ্গে অডিয়ো-বিশ্লেষণ করবেন নীল ছবির দুনিয়ার তারকারা। ল্যুভর মিউজিয়ামের অভিযোগ অনুমতি না নিয়ে মেধাস্বত্ব লঙ্ঘন করেছে পর্নহাব। ওই ছবিগুলোকে নিজেদের অ্যাপ থেকে দ্রুত সরানোর দাবি করেছে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ।