১০ বছর পর পর্দায় মুক্তি পেয়েছে দেব ও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি 'ধূমকেতু'। ছবি মুক্তির আগে থেকেই এই ছবি নিয়ে দর্শকদের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। আর সেই উন্মাদনাকে আরও কয়েক ধাপ বাড়িয়ে দিয়েছিল দেব-শুভশ্রীর এক হওয়া। ‘ধূমকেতু’র ট্রেলার লঞ্চ ইভেন্টে একসঙ্গে দেখা মিলেছিল তাঁদের। তারপর ফের ছবি মুক্তির আগের দিন নৈহাটির জাগ্রত দেবী বড়মার কাছে আশীর্বাদ নিতে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। সেখানে ফের তাঁদের একসঙ্গে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছিলেন 'দেশু' ফ্যানেরা। আর এবার তাঁদের ছবি দিয়ে ছবির পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পোস্ট করতেই নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার হলেন তিনি।
আরও পড়ুন: দিব্যজ্যোতির সঙ্গে জুটি বাঁধলেন প্রিয়াঙ্কা! কোন নতুন কাজের খোঁজ দিলেন তাঁরা?
শুক্রবার পরিচালক দেব-শুভশ্রীর একটি ছবি শেয়ার করে নেন সমাজমাধ্যমের পাতায়। সেখানে লাল শাড়ি-পাঞ্জাবিতে নৈহাটির বড়মা-এর মন্দির দর্শনের একটি মুহূর্ত ফ্রেম বন্দি করে অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন কৌশিক। ওই ছবিতে দেব-শুভশ্রীকে একটি ফোনে কিছু মন দিয়ে দেখতে দেখা যায়। ছবিটি পোস্ট করে পরিচালক ক্যাপশনে লেখেন, ‘দুজনে কী দেখছিল এত মন দিয়ে? বুক মাইশোতে লেগে যাওয়া আগুন? নাকি ফ্যান ভিডিয়ো? নাকি অনুরাগীদের কমেন্ট? নাকি নৈনিতালের শ্যুটিংয়ের পুরোনো ছবি? ওঁরাই জানে শুধু!’
আরও পড়ুন: টুকটুকে লাল বেনারসী, কপালে সিঁদুর চুপিচুপি বিয়ের পিঁড়িতে পর্দার ‘রাঙামতী’ মনীষা?
আর তাঁর এই পোস্ট প্রকাশ্যে আসতেই পরিচালককে বাক্যবাণে বিদ্ধ করতে শুরু করেন নেটিজেনরা। একজন লেখেন, ‘আপনিও তো দেখছি, ওঁদের প্রেমের মুগ্ধ দর্শক।’ আর এক ব্যক্তি লেখেন, ‘আপনার যা অবস্থা, দেখে খারাপ লাগছে।’ ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে একজন লেখেন, ‘ঘাটালের live বন্যা পরিস্থিতি।’ আর এক নেটিজেন লেখেন, ‘কৌশিক স্যারকে অন্য কোনও ছবির জন্য এভাবে প্রমোশন করতে আমি দেখিনি।’
এই ছবির অ্যাডভান্স বুকিং ছিল চোখে পড়ার মতো। অ্যাডভান্স বুকিংয়ে আয়ের মাধ্যমে একাধিক রেকর্ড ভেঙেছে 'ধূমকেতু'। শুধু তাই নয়, বাংলার বক্স অফিসেও ঝড় তুলেছে এই ছবি । তবে অনেকেই এই ছবির প্রশংসা করলেও, অনেকের মনে আবার এই ছবি দাগ কাটতে পারেনি। ফলে সবটা মিলিয়ে বক্স অফিসের নিরিখে দুর্দান্ত ফল হলেও দর্শকদের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

সেই রকম এক দর্শক লেখেন, ‘গতকালই দেখেছি। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের এরকম ছবি ভাবতে পারছিনা। কাহিনীর অসামঞ্জস্য, টুকরো কিছু ছেঁড়া কাহিনি জোড়া দেওয়া।ভালো লাগেনি। শূন্যতা নিয়ে ফেরা। প্রাপ্তি রুদ্রনীলের অভিনয়। আর কিছু না।’ আর একজন লেখেন, ‘একটা ফ্লপ সিনেমাকেও কীভাবে মার্কেটিং করে সুপারহিট বানানো যায়, সেটাই বোঝাচ্ছে রেটিং দেখে।’