Kangana-Women scientists: সিঁদুর-মঙ্গলসূত্র পরে চাঁদ জয় ইসরোর মহিলা বিজ্ঞানীদের! মোদীর পর কুর্নিশ কঙ্গনার

চার নম্বর বার জাতীয় পুরস্কার হাতছাড়া হওয়ার আফসোস নেই তাঁর, বরং বিজেতাদের প্রশংসা করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। এবার ইসরোর মহিলা বিজ্ঞানীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বলিউডের ‘কুইন’। ভারতীয় স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন ওরফে ইসরোর চন্দ্রযান ৩ মিশনের নেপথ্যে থাকা মহিলা বিজ্ঞানীদের ছবি রবিবার ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নিলেন কঙ্গনা। সঙ্গে থাকল নারীশক্তির জয়গান।কঙ্গনার শেয়ার করা ছবিতে ক্যামেরা তাক করে হাসিমুখে পোজ দিচ্ছেন ইসরোর মহিলা বিজ্ঞানীরা। সকলের পরনে শাড়ি, কপালে টিপ,গলায় ঝুলছে মঙ্গলসূত্র, সিঁথিতে শোভা পাচ্ছে সিঁদুর। এই ছবি শেয়ার করে কঙ্গনা লেখেন- ‘ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীরা। সকলের কপালে টিপ, সিথিতে সিঁদুর, গলায় মঙ্গলসূত্র…..এঁদের জীবন সাদামাটা অথচ মুক্ত চিন্তাধারা প্রতিভূ….ভারতীয়তা আসল সারমর্ম এঁরা’। চন্দ্রযান ৩ সাফল্যের মাঝেই সোশ্যালে সুপারভাইরাল শাড়ি, খোঁপায় ফুলের মালা গোঁজা মহিলা বিজ্ঞানীদের ছবি। সেই নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। অনেকেই সেই ছবি শেয়ার করে ‘তথাকথিত মর্ডান নারীবাদীদের’ বিঁধেছেন, পেয়েছেন পালটা জবাবও। ২৩ অগাস্ট সন্ধ্যা ঠিক ৬টা বেজে ৩ মিনিটে যখন চাঁদের মাটি স্পর্শ করল ইসরোর চন্দ্রযান-৩। আর এই মিশনে পুরুষ বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন অগুণতি মহিলা বিজ্ঞানীরা। পুরুষাতান্ত্রিক সমাজের গালে কষিয়ে চড় মেরেছেন তাঁরা। যুগ যুগ ধরে সমাজের বেঁধে দেওয়া গণ্ডি পেরিয়ে আজ চাঁদ জয় করেছেন সেই সব মেয়েরা। তাঁদের এই অবদানকে রবিবার বিশেষভাবে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।এদিন মন কি বাত অনুষ্ঠানে চন্দ্রাভিযানের এই মিশনে আলাদা করে ভারতের মহিলা শক্তির কথা উল্লেখ করেন মোদী। তিনি বলেন, ইন্ডিয়ান স্পেস রিচার্স অ্যান্ড অর্গানাইজেশন (ইসরো)র ও চন্দ্রযান-৩ এর মহিলা বিজ্ঞানীরা হলেন মহিলাদের ক্ষমতায়নের জ্বলন্ত উদাহরণ। তিনি আরও যোগ করেন, ‘ভারতের মেয়েরা এখন মহাকাশের অসীম বিস্তারকেও চ্যালেঞ্জ করছেন। একটি দেশের মেয়েরা যখন এত উচ্চাভিলাষী হয়ে ওঠেন, তখন সেই জাতিকে উন্নত হওয়া থেকে কে আটকাতে পারে?’৪০ দিনের সফর শেষ করে গত ২৩ অগস্ট চাঁদের মাটিতে পা রেখে ইতিহাস গড়েছে ইসরোর চন্দ্রযান-৩। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা পড়েছে ভারতের। সার্বিকভাবে চাঁদের মাটিতে পা দেওয়া চতুর্থ দেশ হয়েছে ভারত (আমেরিকা,পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চিনের পরে)। আর এই সাফল্যে মহিলা বিজ্ঞানীদের অবদান ভোলার নয়।কঙ্গনাকে আগামিতে দেখা যাবে ‘চন্দ্রমুখী ২’ ছবিতে। তাঁর হাতে রয়েছে ‘তেজাস’-এর মতো প্রোজেক্ট। মুক্তির অপেক্ষায় পরিচালক-অভিনেত্রী কঙ্গনার ‘এমার্জেন্সি’। এই ছবিতে দেশের প্রথম ও একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে দেখা যাবে কঙ্গনাকে।