কথাতেই আছে, নামে কি এসে যায়! নামে কিছু না এসে গেলেও অনেক সময় এই নামটাই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। ২৫ আগস্ট টলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে গোটা ইন্ডাস্ট্রিতে ছড়িয়েছে শোকের ছায়া। নেতা তথা অভিনেতা মাত্র ৬২ বছর বয়সে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
গত ১৫ অগস্ট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল অভিনেতাকে। দীর্ঘদিন ধরেই নাকি তিনি অসুস্থ ছিলেন। ১৭ অগস্ট ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় তাঁকে। অবশেষে চিরকালের মতো না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন অভিনেতা। রেখে গেলেন দ্বিতীয় স্ত্রী অঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাকে।
আরও পড়ুন: ‘ধূমকেতু’ ছবির আড়ালে লুকিয়ে এক অন্য গল্প, পরিচালকের পোস্ট দেখে চমকে উঠলেন সকলে
আরও পড়ুন: 'দুটো বাচ্চার মা...'! ধূমকেতু মুক্তি পেতেই শুভশ্রীকে নিয়ে এ কী বললেন দেব
কিন্তু এই শোকের আবহে রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন অন্য আর এক অভিনেতা। জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর শুনে অনেকেই না বুঝে অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন। অনেকে অভিনেতাকে ফোন এবং মেসেজও করেছেন তিনি সুস্থ আছেন কিনা দেখার জন্য।
২৫ অগস্ট সকাল থেকে প্রায় শতাধিক ফোন এবং মেসেজ পাওয়ার পর অবশেষে সমাজ মাধ্যমের পাতায় একটি পোস্ট করলেন জয়জিৎ। প্রয়াত অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ছবি পোস্ট করে জয়জিৎ লেখেন, ‘অভিনেতা জয় ব্যানার্জি। ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি। সকাল থেকে প্রচুর ফোন আর মেসেজ পেয়েছি। আমি ভালো আছি।’
আরও পড়ুন: ‘ধূমকেতু’ ছবির আড়ালে লুকিয়ে এক অন্য গল্প, পরিচালকের পোস্ট দেখে চমকে উঠলেন সকলে
আরও পড়ুন: 'দুটো বাচ্চার মা...'! ধূমকেতু মুক্তি পেতেই শুভশ্রীকে নিয়ে এ কী বললেন দেব
জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কমেন্ট বক্সে কেউ কেউ লিখেছেন, মানুষ এমন ভুল করে কীভাবে? দুটি মানুষ সম্পূর্ণ আলাদা। কেউ আবার মজার ছলে লিখেছেন, আয়ু বেড়ে গেল আপনার। একজন আবার লিখেছেন, বেঁচে থাকার মত কাজ করুন। উত্তরে অভিনেতা লিখেছেন, ঠিক কি কি কাজ করতে হবে একটু বলে দিলে ভালো হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৩ সালের ২৩ মে জন্ম নেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘অপরূপা’ ছবিতে দেবশ্রী রায়ের বিপরীতে অভিনয় করার মাধ্যমে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। ‘হীরক জয়ন্তী’, ‘জীবন মরণ’, ‘অভাগিনী’, ‘মিলন তিথি’, ‘সিঁথির সিঁদুর’ সহ বহু ছবিতে অভিনয় করেছিলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।