বাঁকুড়া থেকে লড়ে হেরেছিলেন একুশের নির্বাচনে। তবে হাল ছাড়েননি। লোকসভা ভোটের টিকিট না পাওয়ায় অভিমান হয়েছিল সায়ন্তিকার। মান-অভিমান পর্ব ঘুচে যায় বরানগর উপনির্বাচনের টিকিট পাওয়ার পর। এবার আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিরাশ করেননি সায়ন্তিকার। বিজেপির অন্যতম পরিচিত মুখ সজল ঘোষকে পরাজিত করেন নায়িকা।
কিন্তু সহজ ছিল না সায়ন্তিকার এই জয়। জয়ের পরেও লড়াই থামেনি। রাজ্যের দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। রাজভবনে শপথগ্রহণে অনীহা দেখান মমতার দুই সুযোগ্য় সৈনিক। সেই জট অবশেষে কাটবার মুখে। এর মাঝেই সায়ন্তিকার সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে চোখ রেখে উদ্বিগ্ন অনুরাগীরা। নবনির্বাচিত তারকা বিধায়ক যে ছবি শেয়ার করেছেন, সেখানে দেখা গেল তাঁর পা ফুলে রীতিমতো কলাগাছ।
সায়ন্তিকার ট্যাটু আঁকা পা ফোলার কারণ কী? দীর্ঘ দু মাস ধরে বরানগরে আদা-জল খেয়ে পড়েছিলেন সায়ন্তিকা। প্রচারে এক ইঞ্চি জমি ছাড়েননি। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছেছিলেন ভোট চাইতে। সেই পরিশ্রমের কথাই স্মরণ করে নিয়েছেন তিনি। জয়ের মাসপূর্তির দিনে এই বিশেষ পোস্ট শেয়ার করেন অভিনেত্রী। শেয়ার করা পোস্টে দুটো ছবির কোলাজ, প্রথমটিতে সায়ন্তিকার ফোলা পা, দ্বিতীয়টিতে জয়ের শংসাপত্র হাতে হাসিমুখে পোজ দিচ্ছেন তিনি। ক্যাপশনে লেখা, ‘ওটা ভাগ্যের জোরে জয় নয়, কঠোর পরিশ্রমের ফসল’। ভোটপ্রচারে যে হাড়ভাঙা খাটনি হয়েছে, তার জেরেই বীভৎসভাবে ফুলে গিয়েছে সায়ন্তিকার পায়ের পাতা।
পা ফোলা ছবি প্রসঙ্গে সায়ন্তিকা জানান, ‘প্রচুর হেঁটে হেঁটে পা ফুলে গিয়েছিল। কষ্ট করেছি বলেই কেষ্ট মিলেছে। অনেকেই ভাবেন অভিনেত্রী বলে মানুষের কাজ করতে অপারগ। কিন্তু বরানগরের মেয়ে হয়ে উঠতে লড়াই করতে হয়েছে আমাকেও।’

প্রসঙ্গত, জয়ের পর এক মাস পার হলেও এখনও বিধায়ক পদে শপথগ্রহণ করতে পারেননি সায়ন্তিকা এবং ভগবানগোলার বিধায়ক রায়াত হোসেন। দুজনকেই রাজভবনে গত ২৬শে জুন শপথগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল। বিধায়করা পালটা বলেন, বিধানসভাতেই শপথ গ্রহণ করবেন তাঁরা। সেই নিয়েই শুরু রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত। বিধানসভায় আম্বেদকর মূর্তির নীচে ধরনায় বসেছিলেন নবনির্বাচিত দুই বিধায়ক। বৃহস্পতিবার রাজভবন সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজ্যপাল সংবিধান মেনে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দিয়েছেন দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণ করানোর। যদিও স্পিকার জানিয়েছেন, এই নিয়ে তাঁর কাছে কোনও তথ্য এখনও অবধি এসে পৌঁছায়নি। খবর, বৃহস্পতিবার কলকাতা ফিরে বিকেলেই রাজ্যপাল দুই বিধায়কের শপথের দায়িত্ব ডেপুটি স্পিকারকে দিয়ে দিয়েছেন।