ইন্ডিয়ান আইডলের জনপ্রিয়তা বরাবরই থাকে তুঙ্গে। দর্শকদের উন্মাদনাও লক্ষ্য কর যায়, গানের এই রিয়েলিটি শো-কে নিয়ে। এবারের সিজনে শুরু থেকেই ছিল বাংলার ছেলে-মেয়েদের রমরমা। সিজন ১৫-র সেরা পনেরো-তে জায়গা করে নিয়েছিন বাংলার সাত তারকা। যদিও তার মধ্যে ইতিমধ্যে চার জন ভোট আউট হয়ে গিয়েছেন। তাহলে কারা পৌঁছলেন সেরা দশে?
গত সপ্তাহে ময়ূরী ভোট আউট হয়ে যাওয়ার পর, সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বাঙালিরা। এমনকী, বাংলার সন্তানদের সঙ্গে ‘রাজনীতি হচ্ছে’ দাবি করে, শো বয়কটের ডাকও তোলেন। তবে এখনও ৫ বাঙালি রয়েছেন সেরা দশের দৌঁড়ে। তাই বাংলার হাতে ট্রফি আসার একটা আশা থেকেই যাচ্ছে সকলের মনে।
ইন্ডিয়ান আইডলের সেরা ১০:
ইন্ডিয়ান আইডলের তরফে সেরা দশ-এ ওটা প্রতিযোগীদের নাম শেয়ার করে নেওয়া হয়েছে ফেসবুকে। আর তাতে রয়েছেন বাংলার ৪ সন্তান। শুভজিৎ চক্রবর্তী, বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মানসী ঘোষ, প্রিয়াংশু দত্ত। এছাড়াও গুয়াহাটি, অসমের বাঙালি কন্যা মিশমি বসুও রয়েছেন।
খড়গপুরের পানওয়ালা শুভজিৎ চক্রবর্তী ইতিমধ্যেই হয়ে উঠেছেন ইন্টারনেট সেনসেশন। সঙ্গে বিশেষ করে, দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছেন ময়ূরীও। বিশেষ করে মানসীর সোয়্যাগ, দুষ্টুমি, বিন্দাস স্বভাব প্রতি সপ্তাহেই মাতিয়ে রাখে সকলকে।
বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রথমদিকে বেশ অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল বিচারক বিশাল দাদলানিকে। তবে বর্তমানে নিজের কিছু ত্রুটি সংশোধন করে, গানের লড়াইয়ে এগিয়ে চলেছেন বিশ্বরূপ। একইভাবে ছাপ ফেলেছেন বিশ্বরূপের ‘শিষ্য’ প্রিয়াংশুও। এখন দেখার, ফাইনালে কারা কারা ওঠেন। বাংলার না হলেও, বাঙালি হিসেবে মিশমিও কিন্তু রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দর্শকদের ‘প্রিয়-র তালিকায়’।
চলতি সিজনে বিচারকের আসনে দেখা যাচ্ছে শ্রেয়া ঘোষাল, বিশাল দাদলানি ও বাদশাকে। প্রথমদিকে অনেকেই নাক সিঁটকেছিলেন বাদশা-র বিচারক হওয়া নিয়ে। র্যাপার হিসেবে নাম কামালেও, তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে যে অনলাইনে ট্রোল, তা নজরে এড়ায়নি বাদশার নিজেরও। তিনি নিজেও নিজেকে নিয়ে মস্করা করে বুঝিয়েছেন, কোনো রকম কটাক্ষ গায়ে মাখতেই রাজি নন!
বিতর্কে ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১৫:
তবে সেরা দশের তালিকা দেখেও কিন্তু বাঙালির মনের ভিতরে জমে থাকা রাগ কমছে না। কিছুতেই তাঁরা সৃজন পোরেল, রঞ্জিনী সেনগুপ্ত, ময়ূরী সাহা-র এভাবে পরপর আউট হয়ে যাওয়া মানতে পারছেন না। একজন মন্তব্যে লিখলেন, ‘সব সিজনেই ফাইনালে একাধিক বাঙালি পৌঁছলেও, কেউ জিততে পারে না! আমি জানি এবারেও তাই হবে। এটাই হয়ে এসেছে। এভাবেই বাংলাকে ছোট করা হয়।’ আরেকজন লেখেন, ‘আমি বুঝি না, বাংলার ছেলে-মেয়েদের যদি জেতানো হবে না বলে আগে থেকে ঠিক করাই থাকে, তাহলে নেওয়া কেন হয়?’