১৯৮৯ সালের ১৫ নভেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করাচি টেস্টে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় সচিন তেন্ডুলকরের। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই তিনি দেশের জার্সি গায়ে চাপানোর সুযোগ পেয়ে যান। ভারতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশের পরের গল্পটা ক্রিকেটের লোকগাথায় চিরকালীন জায়গা করে নিয়েছে।
টেস্টে ১৫৯২১, ওয়ান ডে ক্রিকেটে ১৮৪২৬ রান, সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ শতরান। সচিনের বর্ণোজ্জ্বল কেরিয়ারই তাঁকে ক্রিকেটের ঈশ্বর হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না যে, ভারতের হয়ে ক্রিকেট খেলার আগে সচিন পাকিস্তানের হয়ে মাঠে নেমেছেন। তাও আবার ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে।
সচিন তখনও ১৪ বছরেও পা দেননি, ১৯৭৭ সালে পাকিস্তান দলের হয়ে মাঠে নামতে দেখা যায় তাঁকে। কেন সচিন পাকিস্তানের হয়ে খেলতে নামেন, কোন ম্যাচে তাঁকে ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে দেখা গিয়েছিল, তেন্ডুলকরের ৫২ বছর পূর্ণ করার দিনে জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
আরও পড়ুন:- অভিনন্দন জানাতে এলেন গোয়েঙ্কা, কথাই বলতে চাইলেন না রাহুল, ভোলেননি অপমান!- ভিডিয়ো
কবে সচিন ইমরান খানের পাকিস্তানের হয়ে মাঠে নামেন
১৯৭৭ সালে ক্রিকেট ক্লাব অফ ইন্ডিয়া, সংক্ষেপে সিসিআইয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করা হয়। সফরকারী পাকিস্তান দল ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে ৪০ ওভারের ম্যাচ খেলতে নামে।
২০ জানুয়ারি সেই ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে ফিল্ডিং করেন দুই ভারতীয়। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন সচিন। আসলে ম্যাচের লাঞ্চের সময় দুই পাক ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদ ও আবদুল কাদির হোটেলে ফেরেন। লাঞ্চের বিরতির পরে খেলা শুরু হয়ে গেলেও দুই পাক তারকা তখনও ফিরে আসেননি।
আরও পড়ুন:- রোহিত-কোহলি-জাদেজা অবসরে, IPL-এ চমক দেখিয়ে T20 World Cup 2026-এর দলে ঢুকতে পারেন কারা?
সেই সময় ইমরান খান সিসিআইয়ের ক্যাপ্টেন হেমন্তকে জানান যে, তাঁদের কয়েকজন পরিবর্ত ফিল্ডার দরকার। ১৩ বছরের সচিন পাশেই বসেছিলেন। তিনি বাউন্ডারি বয়ের কাজ করছিলেন। তিনি বিষয়টি বুঝেই জিজ্ঞাসা করে বসেন যে, ‘আমি যাব?’ হেমন্ত মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলার আগেই সচিন দৌড়ে মাঠে চলে যান।
সেই ম্যাচে প্রায় ২৫ মিনিট পাকিস্তানের হয়ে ফিল্ডিং করেন সচিন। ডিপ মিড-উইকেটে ফিল্ডিং করানো হয় সচিনকে। তেন্ডুলকর ফিল্ডিং করার সময় একবার একটি বল সরাসরি উড়ে আসে লেগ সাইডের বাউন্ডারিতে। সচিন প্রাণপণে দৌড়ে ক্যাচ ধরার চেষ্টা করেন। তবে বল তাঁর নাগালে ছিল না। বেশ কিছুটা আগেই মাটি ছুঁয়ে যায়। সচিন ক্যাচ মিস করেছেন, এমনটা বলা যাবে না মোটেও। আসলে সেটি ক্যাচ হিসেবে বিবেচিতই হচ্ছিল না। তা সত্ত্বেও ক্যাচ ধরতে না পারার জন্য অত্যন্ত হতাশ ছিলেন তেন্ডুলকর।