বিয়ের পর হাতে গোনা কিছুটা সময়ই সংসার করেছেন মহম্ম শামি আর হাসিন জাহান। তারপর থেকেই দুজনের ছাদ আলাদা। যদিও আইনিভাবে দুজনে এখনও স্বামী-স্ত্রী। চলছে ডিভোর্সের মামলা। আর সম্প্রতি কলকাতা আদালতে বড় জয় পান হাসিন। কারণ, শামিকে তাঁর স্ত্রী ও কন্যার ভরনপোষণের জন্য মোট চার লক্ষ টাকা করে প্রতি মাসে দিতে হবে।
গত মঙ্গলবার বিচারপতি অজয় কুমার মুখোপাধ্যায় হাসিন জাহানকে প্রতি মাসে দেড় লক্ষ টাকা এবং তাঁদের মেয়ে আইরার জন্য প্রতি মাসে আড়াই লক্ষ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যার জন্য নিঃসন্দেহেই বিপাকে পড়েছেন এই ক্রিকেটার। এদিকে এই ৪ লাখ টাকাও যথেষ্ট নন বলে জানিয়ে দিয়েছেন হাসিন। মিডিয়ার কাছে জানিয়েছেন যে, জীবনধারণের জন্য মেয়ে ও তাঁর কম করে দরকার ১০ লাখ। এই নিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান হাসিন।
এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়াতেও শামিকে উদ্দেশ্য করে, একের পর এক কটাক্ষ করে চলেছেন হাসিন জাহান। এবার যেমন একটা রিল বানালেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি গলার আওয়াজ ব্যবহার করে, রিল বানিয়েছেন হাসিন। বলছেন, কীভাবে এক মাতাল তাঁকে দেখতে দেখতে ড্রেনে পড়ে গিয়েছে।
আর সেই রিল শেয়ার করেই হাসিন দাগলেন তোপ। লিখলেন, ‘আমার জীবনে সবসময় মাতালরাই এসে জোটে। পার্থক্য হল ও মেয়েদের নেশায় চুর হয়ে থাকত।’
এর আগে হাসিন অভিযোগ এনেছিলেন যে, তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন মহম্মদ শামি ও তাঁর পরিবার। এখানেই শেষ নয়, বৈবাহিক সম্পর্কে থাকাকালীন একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কেও ছিল শামি, দাবি হাসিনের। শুধু তাই নয়, তিনি শামির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন ও একাধিক ফোন রেকর্ডিং ও স্ক্রিনশটও দেন। হাসিনের দাবি ছিল, বিয়ের পরও যৌনকর্মীদের সঙ্গেও রাত কাটাতেন মহম্মদ শামি। তবে শুরু থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করে আসছিলেন শামি।
২০১৮ সাল থেকেই তাই একাধিকবার হয়েছে জলঘোলা। বারংবার কখনো মিডিয়া, কখনো সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন হাসিনও। এখন দেখার ভবিষ্যতে, এই সম্পর্কের তিক্ততা ঠিক কোথায় গিয়ে শেষ হয়।