সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর রহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। গত ৪৮ ঘন্টায় পাল্টে দিয়েছে এই তদন্তের দিশা। পাটনা পুলিশ এই মামলার তদন্ত শুরু করার পর থেকেই একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। এবার এই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট,খবর টাইমস নাও সূত্রে। জানা গিয়েছে পাটনা পুলিশের কাছ থেকে সুশান্তের পরিবারের তরফে দায়ের এফআইআরের কপি চেয়ে পাঠিয়েছে ইডি। এই মামলায় কোনও আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সুশান্তের তিনটি কোম্পানির মধ্যে দুটি কোম্পানিতে ডিরেক্টরের পদে রয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী ও রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী। সুশান্তের বাবার অভিযোগ সুশান্তের বান্দ্রার কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে ‘গায়েব’ হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। সেই টাকা কোথায়, কোন অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে সেই সম্পর্কে কোনও তথ্য জানা নেই। তা কোনওভাবেই সুশান্তের সঙ্গে জড়িত নয়।গত বছর অক্টোবর থেকে ২০২০'র জানুয়ারি পর্যন্ত সুশান্ত দুটি সংস্থা শুরু করেছিলেন বলে সূত্রের খবর। একটি সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন সুশান্ত, রিয়া এবং তাঁর ভাই। সেই কোম্পানির অফিসিয়্যাল ঠিকানা হিসাবে রয়েছে রিয়ার বাবার নবি মুম্বইয়ের একটি তালাবন্ধ ফ্ল্যাটের ঠিকানা। সাংবাদমাধ্যমের তরফে খোঁজ নেওয়া হলে প্রতিবেশীরা জানান তালাবন্ধই থাকে এই ফ্ল্যাট। Vividrage RhealityX নামের এই সংস্থা নাকি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করত,যদিও এই কোম্পানির শেষ এজিএম (AGM), ব্যালেন্স শিট সম্পর্কিত কোনওরকম তথ্য নেই মিনিস্ট্রি অফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের কাছে, দাবি টাইমস নাওয়ের প্রতিবেদনে। সুশান্তের অপর কোম্পানির ফ্রন্ট ইন্ডিয়া ফর ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশনেরও ডিরেক্টর পদে ছিলেন রিয়া,শৌভিক। এই সমস্ত কোম্পানিতে কোনওরকম আর্থিক তছরূপ হয়েছে কিনা,কিংবা সুশান্তের মৃত্যুর পরে কোনওরকম আর্থিক লেনদেন কোম্পানির অ্যাকাউন্ট থেকে করা হয়েছে কিনা সেই সব কিছু খতিয়ে দেখতে চায় ইডি।