Deepika-Ranveer Wedding Video: রাজকীয় বললেও কম হয়! ৫ বছর পর সামনে এল দীপিকা-রণবীরের বিয়ের ভিডিয়ো

ইটালির লেক কোমোতে গিয়ে রূপকথার বিয়েতে আবদ্ধ হয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিং। সালটা ২০১৮। আর তার পাঁচ বছর পর বিয়ের ভিডিয়ো শেয়ার করে নিলেন বলিউডের এই তারকা জুটি। যা রীতিমতো উত্তেজিত করেছে দীপিকা-রণবীরের ভক্তদের।দিনকয়েক আগেই কফি উইথ করণের টিজার ভিডিয়োতে রণবীরকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ২০১৫ সালে বাগদান সেরে ফেলেছিলেন এই জুটি। তবে সে খবর ঘুণাক্ষরেও জানাতে চাননি কাউকে। ঠিক যেমন শত চেষ্টা করেছিলেন বিয়ের তারিখ থেকে স্থান, সবটাই লুকিয়ে রাখতে। যদি তা পারেননি।দীপিকা-রণবীরের ইতালির বিয়ের নিমন্ত্রিতের তালিকায় শুধু ছিল ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধবরা। সিন্ধি ও কোঙ্কনি, দুই রীতি মেনে দু'দিন ধরে হয়েছিল 'দীপবীর'-এর বিয়ের অনুষ্ঠান। এতদিন ছবি দেখেই মন ভরাতে হয়েছিল সকলকে। এবার বিয়েতে ঘটে যাওয়া ছোট ছোট ঘটনা থেকে শুরু করে, এই বিয়ে নিয়ে দুই বাবাদের (দীপিকা ও রণবীরের) মন্তব্য এল সামনে।ভিডিয়োর শুরুতেই অত্যুৎসাহী রণবীরকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘৬ বছর আগে কেউ যদি আমাকে বলতো তুমি দীপিকাকে বিয়ে করবে, আমি বলতাম পাগল! কিন্তু এখন সেটাই হতে চলেছে। কিছু তো ভালো করেছে তোমাদের ছেলে জীবনে।’ পাশে বসে রীতিমতো লজ্জা পেতে দেখা গেল পদ্মাবদ নায়িকাকে।প্রকাশ পাড়ুকোনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘ও দীপিকাকে খুব ভালোবাসে। আমাদের পরিবারের থেকে একদম আলাদা। আমরা চুপচাপ ও ছটফটে। ভালোই হয়েছে, আমাদের ৪ জনের পরিবার খুব বোরিং, সেখানে রণবীর উত্তেজনা এনেছে।’রণবীরের বাবা জগজিৎ সিং ভাবনানি বলেন, ‘এটা পুরোটাই নিয়তি। কেউ একজন উপরে বসে লিখেছিল এই চিত্রনাট্য। সবচেয়ে সুন্দর একটা চিত্রনাট্য।’ আর রণবীরের সম্পর্কে নববধূ দীপিকাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি সেই ব্যক্তির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলাম যা বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ দেখেনি। রণবীরের একটি শান্ত দিক রয়েছে এবং তাঁর খুব বুদ্ধিমান এবং সংবেদনশীল দিকও রয়েছে। আমি এই কারণে ভালোবাসি, যে ওঁ নির্দিধায় কাঁদে। আমি এই সত্যটাকে ভালোবাসি যে তিনি সমস্ত হৃদয় উজার করে দেন।’২০১২ সাল থেকে তাদের প্রেমের শুরু। সঞ্জয় লীলা বানশালী পরিচালিত ‘গোলিয়ো কি রাসলীলা রাম-লীলা’ ছবির সেটে আলাপ বলিউড অভিনেতা রণবীর সিংহ এবং অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের। সেখান থেকেই মন দেওয়ানেওয়া। বহুবার এই জুটির বিচ্ছেদের খবর এসেছে সামনে। তবে সেসব ভুয়ো খবরকে ভ্রান্ত করে দিয়েছে দীপবীরের প্রেম, একে-অপরকে আগলে রাখা, ভালোবাসা।