বলিউড প্রযোজক বনি কাপুর মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন, কারণ তিন ব্যক্তি বেআইনিভাবে তাঁর চেন্নাইয়ের একটি ফার্ম হাউসের মালিকানা দাবি করছেন, যা একসময় তাঁর প্রয়াত স্ত্রী কিংবদন্তি অভিনেত্রী শ্রীদেবীর মালিকানাধীন ছিল। তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন বনি।
হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বনি এই তিনজনের 'প্রতারণার' চেষ্টার বিবরণ দিয়ে আইনি আবেদন করেছেন। চেন্নাইয়ের ইস্ট কোস্ট রোডে (ইসিআর) অবস্থিত বিতর্কিত সম্পত্তিটি শ্রীদেবী ১৯৮৮ সালের ১৯ এপ্রিল এমসি সম্বান্দা মুদালিয়ারের কাছ থেকে কিনেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। মুদালিয়ারের পরিবার ১৯৬০ সালে সম্পত্তিটি পারস্পরিকভাবে ভাগ করে নিয়েছিল এবং এই পারিবারিক ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে অভিনেতা বৈধভাবে প্লটটি অর্জন করেছিলেন। তবে বনির দাবি, সম্প্রতি এক মহিলা ও তাঁর দুই ছেলে ওই জমির উপর আইনি অধিকার দাবি করতে শুরু করেছেন। ওই নারীর অভিযোগ, তিনি মুদালিয়ারের এক ছেলের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং ১৯৭৫ সালে তাকে বিয়ে করেন। বনি এই দাবির বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যুক্তি দিয়েছিলেন যে লোকটির প্রথম স্ত্রী ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন, কথিত দ্বিতীয় বিবাহ তাই আইনত অবৈধ।
বনি তাম্বারাম তালুক তহসিলদারের এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন, যিনি তিনজনকে আইনি উত্তরাধিকার শংসাপত্র জারি করেছিলেন। তিনি আদালতকে সার্টিফিকেট বাতিল এবং মালিকানা হস্তান্তর রোধ করার আহ্বান জানান। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এন আনন্দ ভেঙ্কটেশ তাম্বারাম তহসিলদারকে বিষয়টি পর্যালোচনা করে চার সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
চেন্নাইয়ের এই ফার্মহাউজটির বনি এবং তার কন্যা জাহ্নবী এবং খুশি কাপুরের জন্য সংবেদনশীল মূল্য রয়েছে, যারা উভয়ই বলিউডে তাদের মায়ের পদক্ষেপ অনুসরণ করেছেন। ১৯৯৬ সালে শ্রীদেবীকে বিয়ে করেন বনি কাপুর। এই দম্পতির দুই কন্যা, জাহ্নবী এবং খুশি কাপুর, দুজনেই এখন বলিউডের অভিনেতা। ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শ্রীদেবী। তার অকাল মৃত্যু গোটা দেশকে হতবাক করেছিল এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রে একটি স্থায়ী শূন্যতা তৈরি করেছিল।