বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনির নাম বারবার বিতর্কে জড়িয়েছে। গত বছর তাঁর এবং শরিফুল রাজের সম্পর্ক, বিচ্ছেদ নিয়ে কম জলঘোলা, কাটাছেঁড়া হয়নি। এবার তাঁর নামের সঙ্গে জড়াল সেই দেশের এক পুলিশকর্তার নাম। আর তার জেরেই নাকি চাকরি খোয়াতে বসেছেন সেই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: শ্যুটিং থেকে ফেরার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে ভিভান! এখন কেমন আছেন কৃষ্ণকলি খ্যাত অভিনেতা?
পরীমনির সঙ্গে সম্পর্কের জন্য চাকরি হারানোর মুখে পুলিশকর্তা
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিবি অতিরিক্ত উপকমিশনারের গোলাম সাকলায়েনকে আপাতত কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হচ্ছে পরীমনির সঙ্গে রাত্রিবাস করার জন্য। আর এই ঘটনা ঘটতেই সেটা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
এই বিষয়ে পরীমনি জানিয়েছেন, 'আমার সঙ্গে প্রেম ভালোবাসার জন্য সাকলায়েনের সঙ্গে এটা করা হচ্ছে বলে আমি মনে করি না। কেউ কারও ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাচ্ছে ওর উপর। সেটার জন্য এটা করা হচ্ছে। আসলে যার গুণ থাকে, যে সফল হয় মানুষ তার পিছনেই লেগে থাকে ক্ষতি করার জন্য। সাকলায়েন একজন গুণী মানুষ, তাঁর এই বরখাস্ত হওয়ার ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত। নিশ্চয় ওর পিছনে কেউ লেগেছে। যেটা হয়েছে খুবই অন্যায় হয়েছে।'
কিন্তু কী নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত?
২০২১ সালে ১ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সেখানে পরীমনি এবং সাকলায়েনকে দেখা অন্তরঙ্গ এবং ঘনিষ্ট অবস্থায় দেখা গিয়েছিল। তখনই তাঁদের সম্পর্কের কথা জানা যায়নি এছাড়াও জানা গিয়েছে সাকলায়েন নাকি নিয়মিত ভাবে অভিনেত্রীর বাড়িতে রাত কাটাতেন আর সেটার প্রমাণ তাঁদের মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্ট দেখে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার জেরেই গত ১৩ জুন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক শৃঙ্খলা ২ শাখা থেকে উপসচিব রোকেয়া পারভিন জুঁইয়ের সই করা আদেশ অনুযায়ী সাকলায়েনকে কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: দর কমিয়েও কল্কি ২৮৯৮ এডির জন্য ৮০ কোটি নিয়েছেন প্রভাস! দীপিকা-অমিতাভ কত করে পেলেন ছবির জন্য?
আরও পড়ুন: লেভেল ২-তে মুখোমুখি দার্জিলিংয়ের আরিয়ান আর দিবাকর, কাবোর পর এবার সারেগামাপায় জায়গা করে নেবে কে?
এই ঘটনার পর পরীমনি একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লেখেন 'সবাই না জেনে বুঝে আমাদের দোষ দিচ্ছে। একটা সম্পর্ক নিয়ে এত দোষারোপ হবে ভাবিনি।'
এই বিষয়ে বলে রাখা ভালো এই প্রথম নয়, সাকলায়েনের নামে বাংলাদেশের আরেক তারকা তথা আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল অভিযোগ তুলেছিলেন এর আগে। জানিয়েছিলেন এই ব্যক্তিই নাকি তাঁর আব্বাকে জোর করে একটি কেসে ফাঁসিয়েছিলেন।